Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুলিশ ছাড়া রাস্তায় আসুন— ওবায়দুল কাদেরকে ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৩ জুন ২০২৩ ২০:০৫

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে পুলিশ ছাড়া রাস্তায় নামার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আসুন না রাস্তায় পুলিশ-আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ছাড়া। দেখবেন কার কত সাহস। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, দেখবেন কার কত সাহস আর শক্তি, দেখবেন জনগণ আপনাদের কী করে।’

তিনি বলেন, ‘দেশটা কারও বাবার নয়, এটা আপনার-আমার সবার দেশ। সবাই মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশটাকে স্বাধীন করেছি।’

মঙ্গলবার (১৩ জুন) গোপীবাগ মেয়র সাদেক হোসেন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আয়োজিত পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘দেশব্যাপী অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি’র প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এ পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশের আয়োজন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা দিয়ে এই সরকার আমাদের বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রেখেছিল। এখন ঘরে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে সরকার। আমাদের এমন নেতা নেই যার বিরুদ্ধে একের একাধিক মামলা নেই।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকারে একটাই মাত্র কাজ-জনগণের পকেট কাটা। গ্রামে, বাজারে দেখেন না, পকেট কাটা। বলেন না, পকেট কাটা ধর ধর। এখন সময় আসছে আসল পকেট কাটাকে ধরার। এমন একটা জায়গা নেই, সেখান থেকে সরকার পকেট কাটে না। মোবাইল থেকে তারা পকেট কেটে নেয়, বিদ্যুতের কার্ডে টাকা ঢুকালে দেখবেন তিন শ’ টাকা নেই। কেটে নিয়ে গেছে শেখ হাসিনা।’

‘সরকার এখন বলে কয়লা নাই, গ্যাস নেই, কেন ভাই? টাকাতো আগে নিয়ে নিছো। টাকা কই গেল? সব পাচার করেছ’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘ভিসা নীতির কারণে সরকার বেকায়দায় পড়ে গেছে। তাই তারা পাচার করা টাকা নিয়ে আসছে। আবার সেই টাকায় আড়াই পার্সেন্ট ইনসেনটিভ দিতে হচ্ছে। এখন টাকা পাচারকারীদের পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন চুরি করেও পুরস্কার পাওয়া যায়’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সিরাজুল আলম খান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। কিন্তু এই আওয়ামী লীগ তাকে মৃত্যুর পর সম্মান পর্যন্ত দিল না। একটি শোকবার্তাও দেয়নি এই সরকার। কারণ, তিনি এদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। এদের তৈরি রক্ষীবাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় এই রক্ষী বাহিনী ৪০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিল।’

তিনি বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিচার বিভাগকে হাতে নিয়ে সব কূটকৌশল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করল। কারণ, তারা বুঝতে পারল নির্বাচনে গেলে জনগণ তাদেরকে ভোট দেবে না। এই ভয়ে তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পায়।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এরা আদালতের নির্দেশ পর্যন্ত মানেছে না। আমাদের সবাইকে গ্রেফতার করলেও আন্দোলন বন্ধ হবে? হবে না। এ সরকারের লজ্জাও লাগে না। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের অবস্থা ১২টা বাজিয়েছে। স্বয়ং আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন, এই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর চায় না। তিনি জানতেন, আওয়ামী লীগ নেতারা বাটপার, চোর, লুণ্ঠনকারি। তাই তিনি আওয়ামী লীগকে বিলুপ্ত করেছিলেন।’

আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে উপস্থিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জারিফ তুহিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম, তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ।

সারাবাংলা/ এজেড/ এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর