ভিত্তিবছর পরিবর্তনে জিডিপি বেড়েছে ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ
১৩ জুন ২০২৩ ২৩:৪৭
ঢাকা: ভিত্তিবছর পরিবর্তনে জিডিপি বেড়েছে ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ। আগে ২০০৫-০৬ ভিত্তিবছর ধরে হিসাব করা হতো দেশের জিডিপি। এখন ২০১৫-১৬ অর্থবছরকে ভিত্তিবছর ধরে হিসাব করায় জিডিপির এই আকার বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ন্যাশনাল একাউন্টিং উইংয়ের এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড.শাহনাজ আরেফিনের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল একাউন্টিং উইংয়ের পরিচালক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। বক্তব্য দেন- বিবিএস’র মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) পরিমল চন্দ্র বসু, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড, দীপঙ্কর রায় প্রমুখ।
কর্মশালায় বলা হয়েছে, শুধু ভিত্তিবছর পরিবর্তন করায় কৃষি খাতে জিডিপি বেড়েছে ১৪ দশমিক ৮, শিল্পে ৩৬ দশমিক ১ এবং সেবা খাতে বেড়েছে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
কর্মশালায় জানানো হয়, জিডিপি হিসাবের ভিত্তিবছর পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে তথ্যের গুণগত পরিবর্তন এসেছে। সেইসঙ্গে দেশের পরিসংখ্যান ব্যবস্থায় আরও বিভিন্ন সূচকের সঠিক তথ্য বর করতে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে ন্যাশনাল একাউন্টিং উইং। সেগুলো হলো- মূল্যস্ফীতির গুণগত মানসম্পন্ন হিসাব পেতে ২০২৫-২৬ ভিত্তিবছর পরিবর্তন করে সম্প্রতি ২০২১-২২ অর্থবছরকে ভিত্তিবছর হিসেবে পরিবর্তন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মজুরি হার সূচক, বাড়ি ভাড়া সূচক, নির্মাণ সামগ্রী সূচক, উৎপাদকের মূল্যসূচক এর ভিত্তিবছরও পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতি তিন মাস অন্তর জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব দেওয়া শুরু করেছে বিবিএস। ইতোমধ্যেই ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রাক্কলনের কাজ শেষ হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের চার কোয়ার্টারের আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে শেষ হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘পরিসংখ্যানের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। সরকারের নীতি নির্ধারণ সঠিকভাবে করতে হলে সঠিক পরিসংখ্যানের বিকল্প নেই। তাই মাঠের তথ্যকে যতটা সুচারুরূপে তুলে আনা যায় ততই মঙ্গল।’
ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, ‘বিবিএস’র সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ উইং হচ্ছে এই ন্যাশনাল একাউন্টিং উইং। কারণ, এখান থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করা হয়। যেগুলোর প্রতি মানুষের যেমন আগ্রহ আছে, তেমনি দেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র বুঝতে ভূমিকা রাখে।’
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম