Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আলতাফ-শিবলীর বিচারপতি পদে ফেরার আপাতত সম্ভাবনা নেই

স্টাফ করেসপন্টেন্ড
১৪ জুন ২০২৩ ১০:২২

ঢাকা: হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমেদ শিবলীকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সব্বোর্চ আদালত। আইনজীবীরা বলছেন, এ রায়ের ফলে তাদের বিচারপতি পদে ফেরার আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই।

বুধবার (১৪ জুন) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন।

বিজ্ঞাপন

পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে পর্যবেক্ষণে কী বলা হয়েছে তা জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, আপিল সর্বেোচ্চ আদালত নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। এ কারণে তাদের (এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমেদ শিবলী)  বিচারপতি পদে ফেরার আপাতত সম্ভাবনা নেই। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে বিস্তারিত জানা যাবে।

এর আগে গত ৮ জুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

ওই দিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনকে হাইকোর্টে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে করা দুটি রিট আবেদন ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর খারিজ করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এ বি এম আলতাফ হোসেন।

এবিএম আলতাফ হোসেন নিজে ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান রিট দুটি দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

২০১২ সালের ১৩ জুন এ বি এম আলতাফ হোসেনসহ ছয়জনকে দুই বছরের জন্য হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। শপথ নেওয়ার দিন থেকে ওই নিয়োগ কার্যকর হবে জানানো হয়। পরদিন তারা শপথ নেন। পরে তাদের মধ্যে পাঁচজনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বাদ পড়েন এ বি এম আলতাফ হোসেন।

আলতাফ হোসেনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান ২০১৪ সালের জুলাই মাসে রিট করেন। এবং একই বিষয়ে এবিএম আলতাফ হোসেন নিজেও একটি রিট দায়ের করেন। যা শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর খারিজ করেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/আইই

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর