সালাম মুর্শেদীর বাড়ি: অনুসন্ধানে সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট
১৪ জুন ২০২৩ ১৯:৪৯
ঢাকা: আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও বাফুফের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান ২০ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে দুদককে শেষবাবের মতো সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৪ জুন) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত খানের দ্বৈত বেঞ্চ এ সময় বেঁধে দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
এদিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতের কাছে সময়ের আবেদন করে জানান, অনুসন্ধান প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। এ জন্য সময় চাইছি। শুনানি শেষে আদালত ২০ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে দুদককে শেষবাবের মতো সময় দেন।
আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে গুলশানের পরিত্যক্ত (‘খ’ তালিকাভুক্ত) বাড়িটি দখলের অভিযোগ তুলে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন রিট করেন।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে বাড়ি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান এবং আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে তা দাখিল করতে বলা হয়েছিল।
সেইসঙ্গে পরিত্যক্ত সম্পতির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি ওই বাড়ি নিয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনকে দিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিবকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরবর্তী সময়ে রাজউক ও দুদক হলফনামা আকারে নথির কপি সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে দিলে তিনি নথির তথ্যানুযায়ী বক্তব্য দিয়ে নিজের ফেসবুকে দুটি ভিডিও প্রকাশ করেন।
গত ১৩ নভেম্বর সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সম্পর্কিত কাগজপত্র হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। পরে গত ২৭ নভেম্বর গুলশানের পরিত্যক্ত বাড়ি সংক্রান্ত বিষয়ে সব নথিপত্র দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ১ ডিসেম্বর শুনানি নিয়ে আদালত সালাম মুর্শেদীর রাজধানীর গুলশানের বাড়ির বিষয়ে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর প্রতিবেদন দাখিলে একাধিক বার সময় নেয় দুদক।
এর আগে, গত ১৩ নভেম্বর সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সম্পর্কিত কাগজপত্র হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। ওই দিন সালাম মুর্শেদীর পক্ষে কাগজপত্র দাখিল করেন তার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
তারও আগে, গত বছরের ৩০ অক্টোবর খুলনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে গুলশানের বাড়িটি দখলের অভিযোগ তুলে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে সি ই এন (ডি)-২৭-এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেটি দখল করে বসবাস করছেন।
রিটে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি ও চলতি বছরের ৪ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে দেওয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি চিঠি যুক্ত করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম