Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তুলসীগঙ্গার তীরে হচ্ছে ২০০ বছরের প্রাচীন ঘুড়ির মেলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৬ জুন ২০২৩ ১৮:২৯

জয়পুরহাট: ক্ষেতলাল উপজেলার তুলশীগঙ্গা নদীর তীরবর্তী সন্ন্যাসীতলায় মন্দিরের পাশে বসে দু’দিনব্যাপি ঘুড়ির মেলা শুরু হয়েছে। গ্রামীণ এ মেলা সন্ন্যাসতলীর ঘুড়ির মেলা হিসেবে পরিচিত।

জনশ্রুতি রয়েছে সন্ন্যাসী পূজাকে ঘিরে দু’শ বছরের আগে মেলাটির উৎপত্তি ঘটে। সেই থেকে পঞ্জিকা অনুসারে প্রতিবছর বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ শুক্রবার বিকেলে বসে গ্রামীণ এ মেলা। মেলায় আশপাশের গ্রাম ছাড়াও দূর দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষের আগমণ ঘটে।

বিজ্ঞাপন

জয়পুরহাটের এই সন্ন্যাসতলীতে হিন্তু ধর্মের লোকজন মন্দিরে সন্ন্যাসীকে পূজা দিয়ে দিনটি উৎযাপন করলেও এটি মুলত হিন্দু-মুসলিমের একটি মিলন মেলা। বিকেলের পর সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মেলায় মানুষের ঢল নামে। মেলাকে ঘিরে জামাই এবং স্বজনদের আপ্যায়ন চলে মেলাসংলগ্ন আশপাশের কয়েক গ্রামে।

রঙ-বেরঙয়ের ঘুড়ি মেলার মূল আকর্ষণ হলেও বর্তমানে মেলায় বসে রকমারি মিষ্টির দোকান। যেখানে বিভিন্ন ধরণের মিষ্টি ও চিনির শাহী জিলাপি মেলে। মেলায় বাঁশ কাঠ ও লোহার তৈরি সংসারের বিভিন্ন সামগ্রী ও মাছ ধরার নানা যন্ত্রের আমদানিও নজর কাড়ে মানুষের।

শিশুদের খেলাধূলার জিনিস এবং কসমেটিক্সের দোকানও বসে দু’দিনের এ মেলায়। জামাই-মেয়ের পাশাপাশি স্বজনদের আপ্যায়নের রীতি এলাকায় চলে আসছে এ মেলাকে ঘিরেই।

স্থানীয় মহব্বতপুর গ্রামের আনিছুর রহমান, দেওগ্রামের জেমিয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের বাপ-দাদারা এই মেলা করতে এসেছিল। আমরাও এই মেলায় কেনাকাটা করতে আসি। এ মেলাকে ঘিরে আশে পাশের জেলা থেকে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে।‘

মেলাতে আসা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ফারুক হোসেন, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার নিতাই চন্দ্র, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা আলিফ হোসেন বলেন, ‘প্রতি বছর এই সন্ন্যাসতলী মেলাতে আসি আমরা শুধু ঘুড়ি কিনতে। ঘুড়ি ছাড়াও এখানে সব ধরনের জিনিসপত্র পাওয় যায়।’

বিজ্ঞাপন

সন্ন্যাসতলী মেলা কমিটির সভাপতি মন্টু চন্দ্র বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারেও বসেছে মেলা। এই মেলা প্রায় দু’শ বছরের পুরাতন মেলা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এ মেলায় আসেন।’

ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই মেলার মূল আর্কষণ ঘুড়ি। মেলাকে ঘিরে আশপাশের জেলা থেকে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় মেলাটি।’

সারাবাংলা/এমও

ঘুড়ির মেলা তুলসীগঙ্গা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর