চট্টগ্রাম ব্যুরো : তারুণ্যের সমাবেশের নামে বিএনপি সারাদেশে সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুর প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশের কথা বলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর করেছে। আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনসহ আমাদের মুক্তি আন্দোলনের মনীষীদের ছবি এবং ম্যুরাল ভাংচুর করেছে। সমাবেশে যাওয়ার পথে এসব ছবি-ম্যুরাল ভাংচুরের তো কোনো যুক্তি নেই। এতে প্রমাণিত হয়েছে, বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশ করে তরুণদের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের শিক্ষা দিচ্ছে। তারুণ্যের সমাবেশের নামে বিএনপি নেতারা আসলে সারাদেশে সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটাচ্ছে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ‘মাঠে মারা যাবার’ বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এখন মির্জা ফখরুল সাহেব ও কয়েকজন বিএনপি নেতা ছাড়া আর কারও মুখে নেই। আন্তর্জাতিক মহলের হাতে-পায়ে ধরেছিল, কিন্তু কোনো দেশ সমর্থন করেনি। কোনো দেশ সরকারকেও বলেনি যে, নির্বাচনকালীন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার করতে হবে। সুতরাং বিএনপি নেতাদের প্রতি অনুরোধ, বকবকানি বাদ দিয়ে নির্বাচনে আসুন।’
‘বিএনপি নির্বাচন কমিশনের কাছে, বিদেশিদের হাতে-পায়ে ধরে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায়। বিএনপিকে তো নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং বিদেশিরা দিতে পারবে না। তারা আসলে নির্বাচনকে ভয় পায়।’
সাংবাদিক নাদিম হত্যার ঘটনা ‘বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক’ মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যাতে হয়, সেজন্য যা কিছু করা দরকার সবই করা হবে।’
এর আগে তিনি সীতাকুণ্ডের কুমিরায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শরৎকালীন সেমিস্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের যশোরের মেয়ে তামান্নার দুই হাত, একটা পা নেই, এক পায়ের দুই আঙুল দিয়ে লিখে সে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। তাকে যখন প্রশ্ন করা হলো, তুমি এত সাহস কোথায় পাও, এত প্রেরণা কোথায় পাও? সে বলেছে স্টিফেন হকিংস উঠতে পারে না, বসতেও পারে না, মাথা নাড়াতে পারে না। শুধুমাত্র দুটো আঙুল দিয়ে লিখে পৃথিবীর জন্ম রহস্যটাই বদলে দিয়েছে। সুতরাং শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোনো সমস্যা নয়।’
উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী, সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, ট্রেজারার হুমায়ুন কবির বক্তব্য রাখেন।