Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিএনপি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরকে সমর্থন করছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৭ জুন ২০২৩ ১৮:৩১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরের জন্য দুঃখ প্রকাশ না করে বিএনপি এ ঘটনাকে সমর্থন করছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে নগরীর জামালখান মোড়ে ভাংচুর হওয়া বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন চিত্রকর্ম পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী একথা বলেন। এসময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক শাজাহান খান তার সঙ্গে ছিলেন।

গত ১৪ জুন নগরীর কাজীর দেউড়ির মোড়ে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ যাবার পথে ছাত্রদল-যুবদলের মিছিল থেকে জামালখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালসহ অন্তত ৫০টি চিত্রকর্ম ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

পরিদর্শনে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিএনপি এবং অন্যান্য যারা ভাংচুর করেছে, আমরা স্থিরচিত্র দেখলাম, কিভাবে আক্রমণ করেছে। তারা মহান মুক্তিযুদ্ধেরও বিরোধিতা করে। তারা আজ পর্যন্ত স্বাধীনতাকে মেনে নেয়নি। তাদের সাধের পাকিস্তান আজ ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্র। অথচ তারা সুযোগ পেলেই পাকিস্তানের গুণগান গায়। বিএনপির মহাসচিব কিছুদিন আগে বলেছিলেন, পাকিস্তানে আমলে ভালো ছিলাম। কোন সুযোগে ভালো ছিল, সেটা আমার জানা নেই। এখনো তারা পাকিস্তানকে হৃদয় দিয়ে লালন করে, এটি তারই বহিঃপ্রকাশ।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কোনো দলীয় নেতা নন, তিনি জাতির পিতা। তার জন্ম না হলে দেশই স্বাধীন হতো না। যারা স্বাধীনতা মানে, তারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করতে পারে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিভাজন, বিভক্তি, মতাদর্শের অমিল, মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ওপর হামলা প্রকারান্তরে এদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর হামলা, স্বাধীনতার ওপর হামলা। কাজেই এটার শুধুই নিন্দাই করি তান নয়, যারা এজন্য দায়ী ব্যক্তি, তাদের যেন দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হয়।’

‘যে দলের নেতাকর্মীরা এটা করেছেন, আমি লক্ষ্য করেছি সেই দল গত দুইদিনেও এজন্য একবারও কোনো দুঃখ প্রকাশ করেনি। যার অর্থ হচ্ছে, তারা এর দায় দায়িত্ব নিয়েছেন বা বহন করছেন। যদি দুঃখ প্রকাশ করতো, তাহলে বুঝতাম কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মী হয়তো এটা করেছে, এজন্য তারা সাংগঠনিকভাবে এর দায়িত্ব নেয়নি। কিন্তু তাদের নীরবতাই প্রমাণ করে তারা এটা সমর্থন করেন।’

একই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারুণ্যের সমাবেশের নামে তারা এখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী ২১ জুন বাংলাদেশের সব জেলা-উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হবে, যাতে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়।’

‘এই ঘটনা দেখে যা বুঝলাম, জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু শক্তিশালী। বঙ্গবন্ধুকে তো বিএনপি হত্যা করেছে। এই দল যে সৃষ্টি করেছে সেই স্রষ্টাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী। তাদের কর্মীরাই বঙ্গবন্ধুর ছবিতে আঘাত করেছে। এদের চরিত্র এখনো পাল্টায়নি।’

এসময় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগরের আহবায়ক শাহেদ মুরাদ সাকু ছিলেন।

সারাবাংলা/আইসি/এনএস

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর