Thursday 14 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বায়ুদূষণ ও জ্বালানি নিরাপত্তায় হুমকি বাড়িয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৭ জুন ২০২৩ ২১:৫৬

ঢাকা: জৈব জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুতে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হচ্ছে, যা বায়ুর গুণগত মান নষ্ট করছে। বায়ু দূষণ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি জ্বালানি নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ।

শনিবার (১৭ই জুন) প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) এর সেমিনার রুমে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং আরবান প্রোগ্রাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র যৌথ আয়োজনে ‘নির্মল বায়ু এবং জ্বালানি নিরাপত্তায় নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা উঠে আসে।

বিজ্ঞাপন

ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর পরিচালক (এডমিন) মো. জাকির হোসেন। গোলটেবিল বৈঠকের সহ-আয়োজক ছিল পরিবেশ উদ্যোগ, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ) ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

মূল বক্তব্যে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জ্বালানি গবেষণা কেন্দ্র (সিইআর)-এর পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসগুলোর মধ্যে প্রধান হলো সোলার (সৌরবিদ্যুৎ) এবং বায়ুকল; যা সঠিক গবেষণার মাধ্যমে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা পৌঁছাতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে।

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বায়ু দূষণের ভয়াবহতা উল্লেখ করে বলেন, ‘নির্মল বায়ু মানুষের অধিকার। কিন্তু ঢাকা শহরের অধিবাসীরা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত। জৈব জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুতে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হচ্ছে, যা বায়ুর গুণগত মান নষ্ট করছে। তাই জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করা গেলে সবার জন্য নির্মল বায়ু এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘জ্বালানি একটি কৌশলগত পণ্য। টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানির অভাবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতার ফলে বর্তমানে জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকির মুখে। জ্বালানি নিরাপত্তায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্প নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে জ্বালানি নিরাপত্তা দিতে গিয়ে যেন পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণগুলোর মধ্যে ৭০ শতাংশ দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানি। এ বিষয়ে সব পর্যায়ে সচেতন হতে হবে।’

গোলটেবিল আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের উপ-পরিচালক মঞ্জু মারীয়া পালমা, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস’র নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান, ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক অ্যান্ড মেরিটাইম ইনস্টিটিউট এর মোহন কুমার দাস বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফা, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদা পারভীন, সিনিয়র লেকচারার মাহমুদা ইসলাম, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরএফ/পিটিএম

জীবাশ্ম জ্বালানি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর