যে কারণে বাতিল হলো হিরো আলমের মনোনয়ন
১৮ জুন ২০২৩ ১৯:৩২
ঢাকা: ঢাকা-১৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রয়োজনীয় এক শতাংশ ভোটারের সই জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান।
রোববার (১৮ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে তিনি এসব কথা জানান।
মুনীর হোসাইন খান বলেন, ‘যেকোনো সংসদীয় আসনে নির্বাচন করতে হলে এক শতাংশ ভোটারের নাম ও সইয়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু হিরো আলম এক শতাংশ ভোটার ও তাদের সই নিতে পারেননি। রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতিনিধি দল সরেজমিন ঘুরে হিরো আলমের দেওয়া এক শতাংশ ভোটারের হদিস পায়নি। এজন্যই তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।’
এদিকে মনোনয়ন বাতিলের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন, ‘ভোটারদের কয়েকজন ওই সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা তা দেখেননি। আমার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় বলেই বারবার প্রার্থিতা বাতিল করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনই বলেন, আর আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই বলেন, তারা আমাকে দেখে ভয় পায় কি না জানি না। প্রতিবারই তারা কেন প্রার্থিতা বাতিল করে নিজেও জানি না। কারণ বাতিল করার পরেও চেষ্টা করে প্রার্থিতা ফিরে কিন্তু পাই। আমার জনপ্রিয়তাকে যদি ভয় নাই পাবে, তাহলে বারবার আমাকে কেন হ্যারেজমেন্ট করা হচ্ছে। তাহলে প্রার্থিতা কেন হলো না। নিশ্চয়ই তারা আমাকে ভয় পায়।’
এর আগে, গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে ঢাকা-১৭ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর উপনির্বাচনে প্রার্থীতার জন্য মোট ১৫ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে সাতজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। বাকি আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
হিরো আলম ছাড়াও উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন— জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদপন্থী মো. মামুনুর রশিদ, মো. তারিকুল ইসলাম ভূঁঞা (স্বতন্ত্র), আবু আজম খান (স্বতন্ত্র), আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), মুসাউর রহমান খান (স্বতন্ত্র), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. মজিবুর রহমান ও শেখ আসাদুজ্জামান জালাল।
মনোনয়ন পত্র বৈধ হওয়া সাত প্রার্থী হলেন— বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টি থেকে সিকদার আনিসুর রহমান, গণতন্ত্রী পার্টির অশোক কুমার ধর, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আকতার হোসেন গণতন্ত্রী পার্টির মো. কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন ও তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান।
প্রসঙ্গত, ইসির তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ২৫ জুন। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ জুলাই। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/জিএস/এনএস