‘ঐক্য অক্ষুণ্ন থাকলে কেউ ডোবাতে পারবে না’
১৮ জুন ২০২৩ ২২:৩৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগের মধ্যে ঐক্য অক্ষুণ্ন থাকলে কেউ ডোবাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
রোববার (১৮ জুন) সকালে থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষচারা বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
কোন পরাশক্তির কৌশল ও নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নানামুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আমরা রাজনীতি করি। আমাদের রাজনীতি হচ্ছে জনগণের কল্যাণ সাধন করা। জনগণের কল্যাণ সাধনের অর্থই হলো জনগণের পাঁচটি মৌলিক অধিকার পূরণ করা এবং মানুষ যাতে ভালো থাকে, সুখে থাকে এজন্য সার্বিক সহযোগিতা করা। এটিই হচ্ছে আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের সার্থকতা। ‘
‘কিছু পরাক্রমশালী দেশ বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে চায়। তারা ৭১ সালেও বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি এবং ব্যর্থ হয়েছে। এবারও বাংলাদেশ ও বাঙালিকে দাবিয়ে রাখার দেশি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কোনো পরাক্রমশালী দেশের পরিকল্পিত কৌশল ও নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’
‘এজন্য প্রয়োজন আমরা রাজনৈতিকভাবে পদমর্যাদা থেকে যে দায়িত্ব পালন করছি তা সঠিকভাবে পালন করা। আমাদের কোনো বিপর্যয় নেই। ঐক্যই হচ্ছে আমাদের বিজয়ের ভিত্তি। এই ঐক্য অক্ষুণ্ন থাকলে কোনো শক্তি আওয়ামী লীগকে ডোবাতে পারবে না। এটি ইতিহাসের প্রামাণ্য শিক্ষার পাঠ।’
উন্নত দেশগুলোই বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ুগত পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা এখন স্বাভাবিকের চেয়ে অতি উচ্চমাত্রায় পৌঁছেছে। যেখানে স্বাভাবিক উষ্ণতার মাত্রা শূন্য দশমিক ৮ থাকার কথা সেখানে এই উষ্ণতার মাপ দাড়িয়েছে দুই ডিগ্রিরও বেশি। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, আগামী ২০-৩০ বছরের মাথায় বৈশ্বিক উষ্ণতা এমন পর্যায়ে পৌছাবে যেন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগুবে।’
‘এই পরিপ্রেক্ষিতে শুধুমাত্র বৃক্ষরোপণ নয় আরও কী কী কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে সেগুলোকেও চিহ্নিত করে সেগুলো যেন আমাদের অভ্যাসগত ধারণা থেকে পরিত্যাগ করতে পারি সে ব্যাপারেও সচেতন হওয়া উচিত। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু দূষণ ও পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফোরামে সোচ্চার হয়েছেন।’
‘উন্নত দেশগুলোই বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাদেরকে এই দায় অবশ্যই বহন করতে হবে এবং উন্নয়নশীল দেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে পরিবেশ রক্ষা ও প্রাকৃতিকগত দূষণ মোকাবেলায় শুধু সহায়তা নয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে আন্তর্জাতিক ফোরামে যে দাবি ও প্রস্তাবনাগুলো উত্থাপন করেছেন তা যৌক্তিক অর্থে সর্বজনীন এবং জন-আকাঙক্ষার প্রতিফলন। পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরাজির যে ভূমিকা রয়েছে তাকে আরও বেশি প্রসারিত করতে আমাদেরকে এখন একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
‘মানুষের পক্ষে ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থান থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই। যদি মুক্তি না পাই আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য এই পৃথিবী বসবাস যোগ্য হবে না।’
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইছহাক, ত্রাণ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. হোসেন ও সদস্য আব্দুল লতিফ টিপু।
সারাবাংলা/আইসি/একে