Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঘোষিত মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক: ডিসিসিআই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৮ জুন ২০২৩ ২২:৫৪

ঢাকা: আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) জন্য বাংলাদেশে ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতিকে ‘সংকোচনমূলক’ বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। রোববার (১৮ জুন) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেছেন ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মুদ্রানীতিতে বিদ্যমান অর্থনৈতিক চাহিদা, আমদানি কার্যক্রমে নজরদারি অব্যাহত রাখা এবং স্থিতিশীল বাণিজ্য পরিবেশ নিশ্চিত প্রভৃতি বিষয়গুলোর উপর প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। রেপো ও রিভার্স রেপোর হার যথাক্রমে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেরর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেপো ও রিভার্স রিপো রেট’র কার্যকারিতা নিয়ে আমরা এখনও নিশ্চিত নই। কারণ ইতোপূর্বেও এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, যা থেকে কাঙ্ক্ষিত সফলতা পাওয়া যায়নি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ঋণের সুদের হারের সীমা ৯ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ব্যবস্থার ফলে ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণের সুদের হার ডাবল ডিজিটে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেটি বর্তমান বৈশ্বিক অস্থির অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পরিচালনায় বেশ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। পাশাপাশি এ ধরনের উদ্যোগ বিশেষ করে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি করবে।’

ডিসিসিআই’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে সরকারি খাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা করা হয়েছে ৪৩ শতাংশ, যেটি আগের অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে ছিল ৪০ শতাংশ। অপরদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে বেসরকারিখাতে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ, যেটি বিগত অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে ছিল ১১ শতাংশ। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা কমেছে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মনে করেন, সরকারি খাতে অধিক মাত্রায় ঋণ গ্রহণ, বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহকে সংকুচিত করবে। সরকারিখাতের ঋণ প্রবাহ হ্রাসের জন্য সরকারি ব্যয় কৃচ্ছতাসাধন, সুশাসন, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা আনয়ন এবং অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা কমিয়ে আনতে কর আহরণের মাত্রা বাড়ানো উপর আরও বেশি জোর দিতে হবে। এতে ব্যাংক খাতের উপর সরকারের নির্ভরতা অনেকাংশে কমে যাবে।’

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

ঘোষিত মুদ্রানীতি ডিসিসিআই সংকোচনমূলক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর