আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি: জিএম কাদের
১৯ জুন ২০২৩ ০০:১২
ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, বিভাজনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়নি। বিভাজন আর বৈষম্যের বিরুদ্ধেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করে বৈষম্য করেছে। তাই, আওয়ামী লীগ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি।
রোববার (১৮ জুন) মুন্সিগঞ্জের জুবিলী রোডের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ‘সরকার ঐক্যবদ্ধ জাতিকে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভক্ত করেছে। আওয়মী লীগ হলে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি মিলবে; আওয়ামী লীগ না হলে তাদের জন্য কিছুই নেই। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ আর বিপক্ষ শক্তি নামেও বিভাজন চলছে। দেশের মানুষ হাজার বছর ধরে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। মুক্তির জন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে, সেই সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হয়ে স্বাধীনতা পেয়েছি।’
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পক্ষের হতে পারে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পরিপন্থী। হাজার বছর ধরে দেশের মানুষ বৈষম্য ও স্বৈরতন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে মুক্তি সংগ্রাম করে আসছে। আমরা অত্যাচার ও নিপীড়ন থেকে মুক্তি চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই মুক্তি পাইনি। কোন ভালো কাজই সহজভাবে সম্পন্ন হয় না। ভালো কাজের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে আমরা যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করব।’
জিএম কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন ভয়াবহ দুরাবস্থার মধ্যে আছে। সরকারের কাছে রিজার্ভ নেই। রিজার্ভের যে হিসাব সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশি ঋণ করা হয়ছে। তার সুদ ও আসল পরিশোধ করলে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। এখন ধার করে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার পূরণ করা হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ থেকে কিছু টাকা পাওয়া যাবে বলে সরকার এখনো বেঁচে আছে। সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে, দেশীয় মুদ্রাও সরকারের হাতে নেই। দেশের ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ব্যক্তির হাতে দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে।’
জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, ‘সংসদে এক এমপি গানে গানে বলেছিলেন সাঝিতে নিয়ে নাকি বিদ্যুৎ বিক্রি করা হবে। এত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে তা ব্যবহার করার জায়গা থাকবে না। তাহলে এখন দেশে বিদ্যুৎ নেই কেন? রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে ১২ বছরে ৯০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. জামাল হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মো. নোমান মিয়া প্রমুখ।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম