আ.লীগে নাসির-রফিকুল দ্বৈরথ, বিএনপির ‘আস্থা’ মুন্নিতে
১৯ জুন ২০২৩ ০৮:০০
যশোর: মাইকেল মধুসূদন দত্ত, কপোতাক্ষ নদ, নকশিকাঁথা, খেজুরের গুড় আর জামতলার রসগোল্লা— প্রসিদ্ধ এসব জিনিস নিয়ে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের তীর্থভূমি যশোর। এই জেলার সংসদীয় আসন ছয়টি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই আসনগুলোতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বড় দল এবং দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকায় এই জেলার প্রায় প্রতিটি আসনে এবার দলের মনোনয়ন চাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেই মাঠে নেমেছেন। তারা বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি কেন্দ্রেও যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। এছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেক জায়গায় অভ্যন্তরীণ বিরোধের খবরও পাওয়া যাচ্ছে। তবে সবার কথা একটিই— নেত্রী যাকে নৌকা দেবেন তার জন্য সবাই একযোগে কাজ করবেন।
এদিকে, রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। আর কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাঠে আছে স্থানীয় বিএনপি। তবে দলটির নেতাকর্মীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের মাঠে নামেনি। কোথাও নির্বাচনমুখী প্রচার বা দলীয় কর্মকাণ্ড নেই তাদের। কেন্দ্র সিদ্ধান্ত দিলে নির্বাচনমুখী হবেন তারা। সেক্ষেত্রে যাকেই ধানের শীষ দেওয়া হোক না কেন সবাই তার জন্য কাজ করবেন। তাই নমিনেশন পাওয়া নিয়ে দলটিতে লড়াইয়ের তেমন তীব্রতা নেই। অপরদিকে, জাতীয় পার্টিরও আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তেমন চোখে পড়েনি। আর নিবন্ধন ও রাজনৈতিক জটিলতায় জামায়াতে ইসলামীর দলীয় অবস্থানও সেভাবে চিহ্নিত হয়নি। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে বোঝা যাবে তারা কীভাবে, কাদের সঙ্গে মাঠে অবস্থান নেবে।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনটিতে বর্তমানে আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান রয়েছে। এই আসনটিতে বিএনপি এককভাবে অতটা শক্তিশালী নয়। তারা জামায়াতনির্ভর রাজনীতি করেছে এতদিন। এমনকি জোটগত নির্বাচনে এই আসনটি জামায়াতকে ছেড়েও দিতে হয়েছে। সেই হিসাবে এবারও বিএনপির জন্য জামায়াত ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়াবে। এদিকে, এই আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা দিনে দিনে দীর্ঘ হচ্ছে। আর আওয়ামী লীগে মনোনয়নপ্রত্যাশী যেমন বেশি, তেমনি দলীয় কোন্দলও বেশি। এদিকে, প্রতিবার জোটশরিক জামায়াতের প্রার্থী নিয়ে বিএনপি প্রার্থীদের দুশ্চিন্তা থাকলেও এবার সেটি নেই। কারণ, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় তারা দলীয় ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াত অংশ নিলেও সরাসরি বিএনপি’র ভোটে ভাগ বসাতে পারবে না বলে ধারণা স্থানীয় নেতাকর্মীদের।
যশোরের চৌগাছা উপজেলার ১১টি ও ঝিকরগাছার ১১টি ইউনিয়ন এবং ২টি পৌরসভা নিয়ে যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) সংসদীয় আসন। গত ১১টি নির্বাচনে এখানে আওয়ামী লীগ ছয় বার, বিএনপি ও জামায়াত দু’বার করে এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী একবার বিজয়ী হয়েছেন। এই আসনে ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে আবুল ইসলাম (তৎকালীন যশোর-৬) আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে বিএনপির বদরুল আলা, ১৯৮৬ সালে জামায়াতের মকবুল হোসেন, ১৯৮৮সালে জাতীয় পার্টির মীর শাহাদাতুর রহমান, ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির কাজী মুনিরুল হুদা, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন আওয়ামী লীগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ২০০১ সালে জামায়াতের আবু সাঈদ মোহাম্মদ শাহাদাৎ হুসাইন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনিরুল ইসলাম নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেজর জেনারেল (অব.) ডা. নাসির উদ্দিন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে যশোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে অন্তত ১০ জনের নাম রয়েছে আলোচনায় রয়েছে। তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ডা. নাসির উদ্দিন, সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. মনিরুল ইসলাম, ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী রায়হান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইনজীবী এবিএম আহসানুল হক আহসান, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয় সম্পাদক উপশহর মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ হারুণ-অর রশিদ, চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ার হোসেন ও গিলবার্ট নির্মল বিশ্বাস। তবে এদের মধ্যে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ডা. নাসির উদ্দিন এবং সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
আর এদের বিপরীতে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও ঝিকরগাছার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা নাজমুল মুন্নি এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান, জেলা বিএনপি নেতা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাক, চৌগাছা বিএনপির আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম ও ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোর্তজা এলাহী টিপু।
এদের মধ্যে যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান খান ওই দুই উপজেলার কোনোটিরই বাসিন্দা নয়। তবে আট বছর ধরে তিনি সেখানে নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও ঝিকরগাছার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা নাজমুল মুন্নি নিজ দক্ষতায় একজন নেত্রী হয়ে উঠেছেন। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে তার রয়েছে সখ্যতা। তার স্বামী নাজমুল ইসলামও ছিলেন রাজনীতিবিদ। তাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। ফলে দুজন মনোনয়ন চাইলেও মুন্নি এগিয়ে থাকবেন বলে জানান স্থানীয়রা।
এদিকে, সর্বশেষ চারটি নির্বাচনের তিনটিতেই (২০১৪ সালে বর্জন) বিএনপি আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দেয়। সেক্ষেত্রে প্রার্থী হয়েছিলেন জামায়াত নেতা আবু সাঈদ মোহাম্মদ শাহাদাৎ হুসাইন। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ায় এবংয় জামায়াতের নিবন্ধন না থাকায় তাদের নিয়ে ভাবছেন না বিএনপি নেতারা। এছাড়া, এই আসন থেকে জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এখনও মাঠে তাদের তৎপরতা চোখে পড়েনি।
অনেক আগে থেকেই নির্বাচনি প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ডা. নাসির উদ্দিন। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘যশোর বরাবরই আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। ঝিকরগাছা ও চৌগাছাতেও দলের সাংগঠনিক অবস্থান অনেক শক্তিশালী। বিগত চার বছরেএলাকায় অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছি। এছাড়া অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গোটা দেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। ফলে আগামী নির্বাচনেও এই আসনে নৌকা বিজয়ী হবে। ঝিকরগাছা-চৌগাছায় আওয়ামী লীগের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় দল। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রয়েছে। এখানে অনেক নেতা। ফলে দুয়েকজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকলেও তা নির্বাচনে নৌকার উপরে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে গণসংযোগ শুরু করেছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। যদিও সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় এবং ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময়ের ভূমিকার কারণে দল তাকে কতটা মূল্যায়ন করবে তা নিয়েও তৃণমূলের একাংশের মাঝে রয়েছে সংশয়।
এদিকে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত হলেও মাঠ থেকে সরে যাননি সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. মনিরুল ইসলাম। তার পিতা ‘সাবাশ চেয়ারম্যান’ খ্যাত আবুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর সহযোগী এবং এই আসনের এমপি ছিলেন। সু-আলোচক ও অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে মনিরুল ইসলামের সুখ্যাতি রয়েছে। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বিগত নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত হলেও এলাকা ছাড়িনি; জনগণের সঙ্গেই আছি। গণসংযোগ, সভা, সমাবেশ করছি। আমি যখন এমপি ছিলাম, সেই সময়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন জনগণের মাঝে তুলে ধরছি। আওয়ামী লীগ আমাকে মনোনয়ন দিলে ইনশাল্লাহ আমি জয়লাভ করব।’
বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঝিকরগাছার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা নাজমুল মুন্নির নাম। তবে দুদকের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় তার প্রার্থিতা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান খান এগিয়ে থাকবেন। এছাড়া যশোর জেলা বিএনপি নেতা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক, চৌগাছা বিএনপির আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম ও ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোর্তজা এলাহী টিপুও দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু করেছেন। জহুরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত ৪২ বছর ধরে চৌগাছায় বিএনপির রাজনীতি করছি। উপজেলায় দলের অবস্থানকে সুসংহত করেছি। ফলে দলীয় ফোরামে নমিনেশন চাইব। এছাড়া এই আসনে কখনই চৌগাছা থেকে কোনো প্রার্থী হয়নি। ফলে চৌগাছাবাসীর দাবি এখন থেকে প্রার্থী করা হোক। সেটি হলে সবদলের ভোটাররাই ভোট দেবেন।’
উল্লেখ্য, যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৫৩ হাজার ২৩৮ জন। চৌগাছা উপজেলায় ১ লাখ ৯৬ হাজার ৫২২ এবং ঝিকরগাছায় ২ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৬। এর মধ্যে মোট নারী ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ২৬ হাজার ৬৩ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ১৭৫। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকে ৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৫ ভোট পেয়ে জয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মেজর জেনারেল ডা. (অব.) নাসির উদ্দিন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকে জামায়াতের আবু সাইদ মুহাম্মাদ শাহাদৎ হুসাইন পান ১২ হাজার ৯ শত ৮৮ ভোট। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনিরুল ইসলাম ৯১ হাজার ৯১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। তিনি পান ৪৯ হাজার ৩৩৯ ভোট। আর ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদৎ হুসাইন। তিনি পান ১ লাখ ৩৩ হাজার ২৪৪ভোট।
সারাবাংলা/টিএম/পিটিএম
অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন মিজানুর রহমান খান মেজর জেনারেল (অব.) ডা. নাসির উদ্দিন যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) সাবিরা নাজমুল মুন্নি