তথ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনলাইনে ভিডিও, মামলায় লাখো আসামি
১৯ জুন ২০২৩ ১৫:৪৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও তার পরিবার সদস্যদের কথিত দুর্নীতির ভিডিও আপলোড, লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ইউটিউব-ফেসবুক) ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
রোববার (১৯ জুন) রাতে তথ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে নগরীর চকবাজার থানায় মামলাটি করেন।
তিনদিন আগে ‘নাগরিক টিভি’ নামে ফেসবুক-ইউটিউব পেজে তথ্যমন্ত্রীর কথিত দুর্নীতির ভিডিওটি আপলোড করা হয়। এ ঘটনায় নাগরিক টিভির অ্যাডমিন মার্কিন প্রবাসী ইউটিউবার নাজমুস সাকিবসহ সাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন এইচ এম কামাল, আজাদ শাহাদাত, সানি প্রধান, সাইফুল ইসলাম তালুকদার, খোন্দকার ইসলাম এবং হাজী হারুন রশিদ।
এ ছাড়া যারা ‘নাগরিক টিভি’র ওই ভিডিওতে লাইক, কমেন্টস ও শেয়ার করেছেন তারাও আসামি হবেন বলে মামলার বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে যারা লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করবেন তারাও আসামির তালিকা থেকে বাদ যাবেন না। সবার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২), ২৬(২), ২৯(১) এবং ৩৫ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
নাগরিক টিভির ফেসবুক পেইজে দেখা যায়, ভিডিওটিতে ৭২ হাজার মানুষ লাইক দিয়েছেন। ভিডিওটি শেয়ার করেছেন ৩০ হাজার মানুষ, কমেন্ট করেছেন ২ হাজার ৩০০ মানুষ। এ ছাড়া নাগরিক টিভির ইউটিউব পেজে ভিডিওটিতে লাইক দিয়েছেন ১১ হাজার সাবস্ক্রাইবার, কমেন্ট করেছেন ৯৩৫ জন। সে হিসেবে মামলার আসামি হবেন লক্ষাধিক মানুষ।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালীর একাংশ থেকে নির্বাচিত তিনবারের সংসদ সদস্য। দ্বিতীয় দফায় তিনি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে আওয়ামী লীগের অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য-বিবৃতি দেন তিনি।
সম্প্রতি ‘নাগরিক টিভি’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে হাছান মাহমুদ ও তার দুই ভাই খালেদ মাহমুদ এবং এরশাদ মাহমুদকে জড়িয়ে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। সেই ভিডিও আবার নাগরিক টিভি’র ফেসবুক পেইজ থেকে শেয়ার করা হয়।
মামলার বাদী আরিফুল ইসলাম এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে তথ্যমন্ত্রী ও তার ভাইদের ছবি ব্যবহার করে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক, মানহানিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য ছড়ানো হয়েছে। হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিডিও ইউটিউব ও ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/একে