জাবি করেসপন্ডেন্ট: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে সোহেল রানা (২৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের তৃতীয় শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়।
সোহেল রানা নিজেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে দাবি করেছেন। তার বাড়ি রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলায়। সোহেলের পিতার নাম সোহাগ আলি ও মায়ের নাম আমেনা বেগম।
জানা যায়, সোহেল রানা ভর্তি পরীক্ষার্থী নাজমুল হকের পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে আসেন। পরীক্ষা চলাকালে সন্দেহজনক হিসেবে সোহেলের কাছে তার মা-বাবার নাম জিজ্ঞেস করেন দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা। তবে তিনি সঠিকভাবে তার মা-বাবার নাম বলতে পারেননি।
এছাড়া ভর্তি পরীক্ষার্থীর ছবির সঙ্গে সোহেলের ছবিরও মিল পাওয়া যায়নি। পরে প্রক্টরিয়াল বডিকে খবর দেন হলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা। এরপর সোহেলকে ধরে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।
সোহেল রানা বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর আগে কখনও প্রক্সি দেয়নি। এলাকার স্থানীয় বড়ভাই ইমরান ইমনের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে এখানে এসেছি। শুনেছি ইমরান ইমন নাজমুল হকের ফুফাতো ভাই।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘বি ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষার সময় তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন। তিনি এখন আমাদের জিম্মায় আছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানিয়েছি। তারা অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে অভিযুক্তকে শাস্তি দিবেন।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষায়ও অভিযুক্ত সোহেল রানা প্রক্সি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটিকে জানিয়ে ‘সি’ ইউনিটের সেই উত্তরপত্রটা বাতিল করেছি।’