ওমান থেকে এলএনজি আমদানিতে দ্বিতীয় মেয়াদে চুক্তি সই
২০ জুন ২০২৩ ০০:০৪
ঢাকা: ওমান থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ১০ বছর মেয়াদী অতিরিক্ত ০.২৫ থেকে ১.৫ এমটিপিএ (মিলিয়ন টন পার এনাম) এলএনজি আমদানি চুক্তি সই হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের পক্ষে পেট্রোবাংলার বোর্ড সচিব রুচিরা ইসলাম এবং ওমানের পক্ষে ওকিউটি’র এর নির্বাহী পরিচালক সাইদ আল মাওয়ালী চুক্তিতে সই করে।
জি টু জি ভিত্তিতে ১০ বছর মেয়াদী ১.০ থেকে ১.৫ এমটিপিএ এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে পেট্রোবাংলা এবং ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের (বর্তমান নাম ওকিউটি) সঙ্গে ২০১৮ সালের ৬ মে এলএনজি আমাদানির প্রথম চুক্তি সই হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী ওকিউটি বর্তমানে বছরে ১.০ এমটিপি (১৬ কার্গো) এলএনজি সরবরাহ করছে।
এবার জি-টু-জি ভিত্তিতে ওকিউটি থেকে ১০ (দশ) বছর মেয়াদে (২০২৬ সালে ৪ কার্গো এলএনজি, ২০২৭ হতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ১৬ কার্গো এবং ২০২৯ হতে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ২৪ কার্গো যা কম বেশি ১.৫ এমটিপিএ এলএনজি’র সমতুল্য) আমদানির লক্ষ্যে আজ নতুন চুক্তি সই হলো।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কাতার গ্যাস-এর সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদী (২০১৮-২০২৩) ১.৮-২.৫ এমটিপিএ এলএনজি (বর্তমানে ২.৫ এমটিপিএ, ৪০ কার্গো এলএনজি) এবং ০১ জুন ২০২৩ তারিখে কাতার এনার্জি ট্রেডিংয়ের ১৫ বছর মেয়াদী (২০২৬-২০৪০) দ্বিতীয় চুক্তিতে অতিরিক্ত ১.৫ এমটিপিএ এলএনজি আমদানির চুক্তি সই হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যমান দু‘টি চুক্তির আওতায় ৩.৫-৪.০ এমটিপিএ এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই এলএনজি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। বাংলাদেশ গ্যাস অনুসন্ধান কাজ জোরদার করেছে। গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানের জন্য পিএসসিকে হালনাগাদ করা হচ্ছে।’ এ সময় তিনি ওমানসহ সংশ্লিষ্টদের আগত পিএসসিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশে নিযুক্ত ওমানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফ্ফার আলবুলুসি, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, ওকিউটি’র নির্বাহী পরিচালক সাইদ আল মাওয়ালী বক্তব্য দেন।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম