বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নাইকো মামলায় উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
২০ জুন ২০২৩ ১৩:১০
ঢাকা: নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জগঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিরা। মামলার চার্জগঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে বিশেষ জজ আদালতকে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (২০ জুন) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদী দুদকের সহকারি পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলমের সাক্ষ্য দেন। তবে এদিন তা শেষ হয়নি। আদালত আগামী ২৫ জুলাই অবশিষ্ট সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তবে তার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন।
এদিকে, মামলার চার্জগঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে সাক্ষ্য পেছানোর আবেদন করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার। কিন্তু আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করার আদেশ দেন। এরপর মাহবুবুল আলম সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। তিনি এজাহার দেখে দেখে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এতে আপত্তি জানান। তারা আদালতকে বলেন, তারিখ, সময় ভুলে গেলে এজাহার দেখে বাদী সাক্ষ্য দিতে পারেন। কিন্তু তিনি তো পুরো এজাহার দেখে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। তিনি এটা পারেন না। এটা সাক্ষ্য আইন বিরোধী। আমাদের সময় দিন। এর বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। কিন্তু আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান তিন জন মারা গেছেন। তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরের বছরের ৫ মে ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
সারাবাংলা/এআই/ইআ