শাহজালাল বিমানবন্দরে আন্ডারপাস নির্মাণসহ ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
২০ জুন ২০২৩ ১৫:২২
ঢাকা: হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আন্ডারপাস নির্মাণসহ ১৬ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৬২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ১২ হাজার ৮৭৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। বৈদেশিক ঋণ ১১ হাজার ১১ হাজার ৪৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার (২০ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে হাজিক্যাম্প বা রেল স্টেশনে সহজে এবং নিরাপদে যাতায়াতের জন্য আন্ডারপাস তৈরি করা হবে। এতে সড়ক দুঘর্টনা যেমন কমবে, তেমনি রাস্তায়ও যানজট কমবে বলে আশা করছি। এই আন্ডারপাস দিয়ে জনসাধারণ মেট্রোরেল স্টেশন, বিআরটি স্টেশন, বিমানবন্দর টার্মিনাল ১, ২,৩ এ যাতায়াত করতে পারবে।‘
বিমানবন্দর এলাকায় পথচারী আন্ডারপাস প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। আগামী জুলাই মাস থেকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড। এক হাজার ৭০ মিটার এই পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- সৌর বিদ্যুৎচালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ প্রকল্প। বিসিএস (কর) একাডেমির ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। জার্মানির বর্লিনে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প। সুনামগঞ্জ-মদনপুর-দিরাই-শাল্লা-জলসুখা-আজমিরিগঞ্জ-হবিগঞ্জ মহাসড়কের শাল্লা-জলসুখা সড়কাংশ নির্মাণ প্রকল্প। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস প্রকল্প।
এছাড়া তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নাতিকরণ (সক্টর) প্রকল্প। নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৪। বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের ঈশ্বরদী-পার্বতীপুর সেকশনের স্টেশনগুলোর সিগন্যালিং ও ইন্টারলকিং ব্যবস্থার প্রতিস্থাপন ও আধুনিকীকরণ প্রকল্প। ইকনোমিক এ্যাসলারেশন অ্যান্ড রিজিলিয়েন্স ফর নিট প্রজেক্ট। রুরাল কানেকটিভিটি ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (আরসিআইপি)।
চট্টগ্রাম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প। গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীর বাজার-চিলমারী উপজেলা সদর দফতরের সঙ্গে সংযোগকারী সড়কে তিস্তা নদীর উপর ১৪৯০ মিটার দীর্ঘপিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্প। রাজশাহী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালী করণ প্রকল্প।
নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ প্রকল্প।
একনেক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ইমদাদউল্লা মিয়ান এবং আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আব্দুল বাকী, এ কে এম ফজলুল হক।
সারাবাংলা/জেজে/এমও