ডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
২১ জুন ২০২৩ ১৪:৫২
ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মিজানুর রহমান মিজানকে পৃথক তিন ধারায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অপর তিন আসামিকে পৃথক দুই ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২১ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর মঞ্জুরুল ইমামের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। তবে সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্মা রহমান শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় ডিআইজি মিজানকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান আদালতে হাজির হন। এই তিনজনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আর মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্না রহমান পলাতক।
ডিআইজি মিজান বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় ৩ বছর, ২৭ (১) ধারায় ৬ বছর এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ৪ ধারায় ৫ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। সবগুলো সাজা একত্রে চলবে বলে তাকে ৬ বছর সাজা ভোগ করতে হবে।
অপর তিনজনকে ২৭ (১) ধারায় ৩ বছর ও মানি লন্ডারিং আইনে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তাদেরকেও ৪ বছর সাজা ভোগ করতে হবে। এছাড়াও ডিআইজি মিনজানের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত ঢাকার বিশেষ জজ-৬ আদালতে বদলির আদেশ দেন। এরপর চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
সারাবাংলা/এআই/ইআ