‘রুদ্র ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার আপসহীন শিল্পযোদ্ধা’
২১ জুন ২০২৩ ১৭:১৭
বাগেরহাট: কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহিত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের আপসহীন শিল্পযোদ্ধা। রুদ্র আবহমান বাঙালির ঐতিহ্যসম্মত মুক্ত বিনির্মাণের সাহসী শব্দ শ্রমিক। বাংলাদেশের প্রগতিশীল সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে রুদ্র ভূমিকা বিস্মৃত হওয়ার নয়।
তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণানুষ্ঠানে আলোচকরা এসব কথা বলেন। বুধবার (২১ জুন) সকালে বাগেরহাটের মোংলার মিঠেখালিতে রুদ্র স্মৃতি সংসদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যৌথ এই আয়োজন করে।
স্মরণানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি সাংবাদিক সুমেল সারাফাত। এতে বক্তর্য রাখেন- সমাজসেবক মাহমুদ হাসান ছোটমনি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক মো. নূর আলম শেখ, মিঠাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উৎপল মণ্ডলসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, ‘কবি শ্রম আর উৎসব, ভালোবাসা আর প্রশান্তিকে ফিরে পেতে চেয়েছিলেন। কবির আশা ছিলো শস্য আর স্বাস্থ্যের, সুন্দর আর গৌরবের কবিতা লেখার। কবি গান গাইতে চেয়েছিলেন বসন্ত আর বৃষ্টির বন্দনা করে। কিন্তু ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান।’
কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দিনটির স্মরণে রুদ্র স্মৃতি সংসদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মোংলা, সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ (পিএফজি), আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সিপিবিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন কবির গ্রামের বাড়ি মোংলার মিঠেখালিতে বুধবার সকালে র্যালিসহকারে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। এছাড়া স্মরণানুষ্ঠান, মিলাদ মাহফিল, দোয়া-মোনাজাত ও রুদ্রের কবিতা আবৃত্তি এবং রুদ্র সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কবিতায় রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র অবিসস্মরণীয় শিল্পমগ্ন উচ্চারণ তাকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবি স্বীকৃতি।
সারাবাংলা/এমও