Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দেশে সংঘাত-সহিংসতার অশনি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২১ জুন ২০২৩ ১৭:১৭

ঢাকা: দেশে সংঘাত-সহিংসতার অশনি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলাম আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

বুধবার (২১ জুন) বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে আয়োজিত গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলালামী আন্দোলন মনোনীত মেয়র প্রার্থী দলটির সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে এ গণমিছিলপূর্ব সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘বর্তমান সিইসি একজন বিকারগ্রস্ত। তিনি অবিবেচক ও উন্মাদের মতো মুফতি ফয়জুল করীমের শরীর থেকে রক্তক্ষরণ নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও উপহাস করেছেন। একজন মানুষ কোন পর্যায়ের বিবেক বর্জিত হলে দেশের একজন সম্মানিত ব্যক্তির ব্যাপারে এ জাতীয় বক্তব্য দিতে পারে, তা আমাদের ভাবতেও অবাক লাগে।’

তিনি বলেন, দেশময় সংঘাত আর সহিংসতার অশনি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অতীতের ন্যায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনও যেনতেনভাবে করার চক্রান্ত করছে। এ ধরনের স্বপ্ন দেখে কোনো কাজ হবে না। দেশবাসী জেগে উঠছে, আর ভোট ডাকাতির সুযোগ দেবে না।

সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘সরকারের দুঃশাসন ও দুর্নীতির কারণে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ভয়াবহ সংকট চলছে। বিদ্যুতের জন্য ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছেন না। নতুন করে কোনো কলকারখানা করতে পারছেন না। বিদ্যুতের বিল তো জনগণ ঠিকই দেয়। কিন্তু পায়রাতে (বিদ্যুৎকেন্দ্র) কয়লার যে বিল, সেটি উনারা শোধ করেন না।’

তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের ব্যর্থতা, অদূরদর্শিতা ও দুর্নীতির কারণে আজ জনগণকে চূড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে। দেশব্যাপী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ভয়াবহ সংকট সরকারের ভুল নীতি ও ভুল কৌশলের কারণে। যার মাশুল এখন সাধারণ মানুষকে দিতে হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। সরকার দলীয় লোকজন সিন্ডিকেটে জড়িত থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালা বদল প্রয়োজন। ক্ষমতাসীনরা এবারও জাতীয় সংসদ বহাল রেখে গায়ের জোরে তাদের অধীনেই একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করতে চইলে জনগণ প্রতিহত করবে।’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিযাম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে দলের আমিরের নেতৃত্বে একটি গণমিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে পল্টন মোড়, বিজয়নগর, কাকরাইল হয়ে শান্তিরনগর চৌরাস্তায় পৌঁছলে পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করে। এ সময় নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সারাবাংলা/ এজেড/ এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর