Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘তথ্য গোপন করেছেন রংপুর সিটির অনেক প্রার্থী’


১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ১২:৫৬

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট 

ঢাকা : আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মোট ২৮৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। প্রার্থীদের হলফনামায় দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে নির্বাচন নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সোমবার সকালে জানিয়েছে, অনেক প্রার্থীই তথ্য গোপন করেছেন।

সংস্থাটি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছে বলেছে, অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের দাখিল করা হলফনামার সঠিকতা যাচাই করে অসত্য তথ্য দানকারী প্রার্থীসহ অসম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হোক।

নির্বাচন বিধি অনুযায়ী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা আকারে ৭ ধরনের তথ্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিল করেছেন। সুজন এর উদ্যোগে প্রার্থীদের দেয়া তথ্য বিশ্লষণ করে সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা গণমাধ্যমের কাছে উপস্থাপন করা হয়।

সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবুল মকসুদ, সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এবং সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া সহযোগী সমন্বয়কারী সানজিদা হক বিপাশা মূল তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন।

সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, ‘তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কোনো কোনো প্রার্থী তথ্য দেয়ার জন্য নির্ধারিত ছক পূরণ না করে ফাঁকা রেখেছেন। এই ঘটনাকে হলফনামায় তথ্য গোপন করার শামিল বলেই মনে করি। সুজনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের দাখিল করা হলফনামার সঠিকতা যাচাই করে অসত্য তথ্য দেওয়া প্রার্থীসহ অসম্পূর্ণ তথ্য দেয়া প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হোক।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের মধ্যে গুণগতমানের কোনো পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি না। যা দুঃখজনক এবং হতাশাজনক। আমরা চাই, নির্বাচনে লেখাপড়া জানা এবং প্রকৃত দেশপ্রেমিকরা অংশ নিক। যাতে গণতন্ত্রের যাত্রা মসৃণ ও দৃঢ় হয়।’

এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের একজন (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, নির্বাচনে তারা কোনো প্রভাব বিস্তার করবে না। তার এই কথা বলার অর্থ কী? তার মানে তারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখেন। দয়া করে প্রভাবিত করবেন না।’

সুজনের নির্বাহী সম্পাদক, সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যম, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী ও সমর্থক এবং ভোটারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমরা আশাবাদী যে রংপুরের নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে।’

সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নাগরিক দায়িত্ব থেকে সুজন এই তথ্য বিশ্লেষনের কাজ করছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের করা উচিত। যাতে ভোটাররা তাদের হাতে সকল তথ্য পায়। এ ছাড়া প্রার্থীরা হলফনামায় যে তথ্য দিয়েছেন তা যাচাই বাছাই করাও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। এখন পর্যন্ত দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া রংপুর নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে বলে মনে হচ্ছে।’

১১১ জন প্রার্থী মাধ্যমিক বিদ্যালয় উত্তীর্ণ নন
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোট ২৮৪ জন প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিশ্লষণে দেখা যায়, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীর সংখ্যা ৬১ জন বা ২১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ১৬৭ জন বা ৫৮ দশমিক ৮০ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তার নিচে। ১০৬ জন প্রার্থী বা ৩৭ দশমিক ৩২ শতাংশ প্রার্থী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি অতিক্রম করেননি। আর ৫ জন প্রার্থী শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘর পূরণ করেননি, এই হিসাব ধরলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি অতিক্রম করেননি ১১১ জন বা ৩৯ দশমিক ০৮ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর, ৩ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক এবং ২ জনের এইচএসসি।

৩৩ টি সাধারণ ওয়ার্ডের ২১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৮১ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নীচে, ৪৪ জনের এসএসসি এবং ৪১ জনের এইচএসসি। ৪ জন প্রার্থী শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘর পূরণ করেনি।

১১ টি সংরক্ষিত আসনের ৬৫ জন জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে এসএসসির কম যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থী ২৫ জন, ১৭ জন এসএসসি পাস, ৮ জন এইচএসসি পাস, স্নাতক পাস ৮ জন এবং ৬ জন স্নাতকোত্তর পাস। ১ জন প্রার্থী শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘর পূরণ করেনি।

রংপুর সিটি নির্বাচনেও ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য
পেশাগত তথ্য বিশ্লষণে দেখা গেছে, ৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোট ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৬৯ জন বা ৫৯ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী। মোট ২৫ জন প্রার্থী পেশার ঘর পূরণ করেননি। যার অর্থ ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ প্রার্থী কোনো কর্মের সঙ্গে জড়িত নন। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য নির্বাচনের মতো রংপুর সিটি নির্বাচনেও ব্যবসায়ীদের প্রাধাণ্য বেশি।

৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন ব্যবসায়ী। একজন মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল কুদ্দুছ) পেশার ঘর পূরণ করেনি। আরেকজন প্রার্থী (সরফুদ্দীন আহম্মেদ) পেশা হিসেবে রাজনীতিকে উল্লেখ করেছেন।

২১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১৫০ জন বা ৭০ দশমিক ৭৫ শতাংশ ব্যবসায়ী। ২০ জন বা ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশের পেশা কৃষিকাজ। ১৭ জন বা ৮ দশমিক ০১ শতাংশ প্রার্থী পেশার ঘর পূরণ করেননি।

৬৫ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৪০ জন বা ৬১ দশমিক ৫৩ শতাংশ গৃহিণী। ১৪ জন বা ২১ দশমিক ৫৩ শতাংশ ব্যবসায়ী। ৭ জন বা ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ পেশার ঘর পূরণ করেননি।

৪২ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে
মামলা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লষণে দেখা গেছে, ৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোট ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৮ জন বা ২০ দশমিক ৪২ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ৪০ জন বা ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে অতীতে এবং ১৮ জন বা ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্তমানে ও অতীতে মামলা ছিল বা আছে।

৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন বা ৫৭ দশমিক ১৪ শতাংশের ফৌজদারি মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছেন। মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল কুদ্দুছের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আছে। মো. মোস্তাফিজার রহমান ও সরফুদ্দীন আহম্মদের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল। মো. কাওছার জামানের বিরুদ্ধে বর্তমানে ও অতীতে মামল রয়েছে। অন্যদিকে, এটিএম গোলাম মোস্তাফা, মো. সেলিম আখতার ও হোসেন মকবুল শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে কখনোই কোনো মামলা ছিল না।

২১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৫২ জন বা ২৪ দশমিক ৫২ শতাংশের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা রয়েছে। ৩৩ জন বা ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল। ১৭ জন বা ৮ দশমিক ০১ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্তমান ও অতীত উভয় সময়েই মামলা রয়েছে। ৩০২ ধারায় ৫ জন বা ২ দশমিক ৩৫ শতাংশের বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারি মামলা আছে। ৪ জন বা ১ দশমিক ৮৮ শতাংশের বিরুদ্ধে অতীতে ৩০২ ধারায় মামলা ছিল।

৬৫ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন বা ৬ দশমিক ১৫ শতাংশের বিরুদ্ধে বর্তমানে ফৌজদারি মামলা আছে। ৩ জন বা ৪ দশমিক ৬১ শতাংশের বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল।

৮০ দশমিক প্রার্থীর বার্ষিক আয় ৫ লাখ টাকার কম 
বাৎসরিক আয় সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লষণে দেখা গেছে, ৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোট ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২২৮ জন বা ৮০ দশমিক ২৮ শতাংশ প্রার্থীর বার্ষিক আয় ৫ লাখ টাকার কম। ২৭ জন বা ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রার্থী তাদের হলফনামায় আয়ের তথ্য উল্লেখ করেননি। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের প্রায় নয় দশমাংশই স্বল্প আয়ের।

৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের বাৎসরিক আয় ৫ লাখ টাকার নিচে। ৩ জনের আয় ৫ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকার মধ্যে এবং ১ জনের আয় ২৫ লাখ টাকার বেশি। সরফুদ্দীন আহম্মেদ সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮০ টাকা আয় করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মো. কাওছার জামান আয় করেন ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং মো. মোস্তাফিজার রহমান তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০ লাখ ১২ হাজার ২৭২ টাকা আয় করেন। মো. আব্দুল কুদ্দুছ কোনো আয় দেখাননি।
২১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১৮৬ জন বা ৬৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ বছরে ৫ লাখ টাকার কম আয় করেন। ২১ জন বা ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ বছরে ৫ থেকে ২৫ লাখ টাকা আয় করেন। ৫ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী কোনো আয় দেখাননি।

৬৫ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৪০ জন বা ৬১ দশমিক ৫৩ শতাংশের বছরে আয় ৫ লাখ টাকার নীচে। ৪ জন বা ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ বছরে ৫ লাখ টাকার বেশি আয় করেন। ২১ জন বা ৩২ দশমিক ৩০ শতাংশ প্রার্থী কোনো আয় উল্লেখ করেননি।

২৩০ জন প্রার্থী ৫ লাখ টাকার কম সম্পদের মালিক 
সম্পদের তথ্য বিশ্লষণে যে চিত্র পাওয়া গেছে তা কোনোভাবেই সম্পদের প্রকৃত চিত্র বলা যায় না। কারণ প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই প্রতিটি সম্পদের মূল্য উল্লেখ করেননি। আবার যে মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে তা প্রকৃত বাজার মূল্য নয়।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৩০ জন বা ৮০ দশমিক ৯৮ শতাংশ প্রার্থী ৫ লাখ টাকার কম সম্পদের মালিক। সম্পদের কথা উল্লেখ না করা ১৩ জন প্রার্থীসহ এই সংখ্যা দাড়ায় ২৪৩ জন বা ৮৫ দশমিক ৫৬ শতাং। অন্যদিকে, প্রার্থীদের মধ্যে কোটিপতি রয়েছেন মাত্র ৪ জন বা ১ দশমিক ৪০ শতাংশ।

৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের সম্পদ ৫ লাখ টাকার নিচে। ১ জনের আয় ৫ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকার মধ্যে এবং ১ জনের আয় ২৫ লাখ টাকার বেশি। বাকি দুইজন প্রার্থীর সম্পদ কোটি টাকার বেশি।

২১২ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১৭৫ জন বা ৮২ দশমিক ৫৪ শতাংশের সম্পদের পরিমাণ বছরে ৫ লাখ টাকার কম। ২৫ থেকে ৫০ লাখ টাকার সম্পদের মালিক ২৩ জন বা ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ কাউন্সিলর। ২ জন বা শূন্য দশমিক ৯৪ শতাংশ প্রার্থীর সম্পদ কোটি টাকার বেশি। এরা হচ্ছেন ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. তারিক মুরশেদ গৌরব। তার সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ২২ লাখ ৪৫ হাজার ৩০৭ টাকার সমপরিমাণ। অন্যদিকে, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রবিউল আবেদিন রতনের সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ২২ লাখ ২৫ হাজার ৮২৯ টাকার সমপরিমান। এ ছাড়া ১০ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেননি।

৬৫ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৫২ জন বা ৮০ দশমিক ৯৮ শতাংশের সম্পদ ৫ লাখ টাকার নীচে। ২৫ থেকে ৫০ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে ১০ জন বা ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ প্রার্থীর। ৩ জন বা ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রার্থী সম্পদের কোনো তথ্য উল্লেখ করেননি।

৩ জনের কোটি টাকার ওপরে ঋণ রয়েছে 
দায়-দেনা ও ঋণ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লষণে দেখা গেছে, ৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোট ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের বা ১ দশমিক ০৫ শতাংশের কোটি টাকার ওপরে ঋণ রয়েছে। কোটি টাকার বেশি ঋণ গ্রহণকারীর মধ্যে একজন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ২ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন।

১৪৪ জনই ৫ হাজার টাকার কম কর দিয়েছেন
আয়কর সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লষণে দেখা গেছে, ৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোট ২৮৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৬৫ জন বা ৫৮ দশমিক ০৯ শতাংশ প্রার্থী কর দিয়েছেন। ১৬৫ জনের মধ্যে ১৪৪ জনই ৫ হাজার টাকার কম কর দিয়েছেন। লাখ টাকা কর দেয়া ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনই সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী।

জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর এই নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ২১২ জন এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সির পদে ৬৫ জনসহ মোট ২৮৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এবারের নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সির পদে নাদিরা খানম নামে একজন তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সারাবাংলা//জেআইএল/একে

 

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর