৪ বছরে মেসির দাম বেড়েছে ৮ লাখ টাকা
২১ জুন ২০২৩ ২১:১৩
ঢাকা: প্রতি কোরবানির ঈদের সময় নানান আকৃতির ও নামের গরু হাটে ওঠে। যা নিয়ে তুমুল আলোচনাও। এবার দাম ও আকৃতির কারণে আলোচনায় এসেছে মেসি নামের একটি মহিষ। ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের একটি ফার্মের বিশালাকার এ মহিষের দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। এর আগে ২০১৮ সালে মেসি নামের একটি গরুর দাম উঠেছিল চার লাখ টাকা। সেই হিসাবে চার বছরের ব্যবধানে মেসির দাম বেড়েছে ৮ লাখ টাকা।
আগামী ২৯ জুন ঈদুল আজহা। ঈদ যতো ঘনিয়ে আসছে ততোই জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির হাট। আগামী ২৫ জুন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরবানির হাঁট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এরইমধ্যে সেজে উঠেছে পশুর হাট। রাজধানীর বেশ কিছু হাটে গরু এসে গেছে। বিভিন্ন গরুর হাটের মূল ফটকের ব্যানার দিয়েও ফেসবুকে ট্রল করা হচ্ছে। বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে পিকআপ ভর্তি গরুর ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হতে দেখা গেছে। কোরবানির গরু কেনাবেচা নিয়ে এখন আলোচনা সর্বত্র। প্রতিবছরের মতো বাহারি নামের বিভিন্ন দামের গরুর তথ্য এরইমধ্যে আসতে শুরু করেছে।
নারায়ণগঞ্জের আলী অ্যাগ্রো ডেইরি ফার্ম। স্থানীয়ভাবে কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ করে আসছে ফার্মটি। প্রতিবারের মতো এবারও এই ফার্মটিতে বাহারি নামের গরু রয়েছে। জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের আজিবপুর বাগানবাড়ি এলাকার এই ফার্মটির সবচেয়ে বড় গরু ও মহিষটির নাম রাখা হয়েছে বিশ্বের জনপ্রিয় দুই খেলোয়াড়— নেইমার ও মেসির নামে। নিলিরাভি জাতের মেসির বয়স আড়াই বছর।
ফার্মটির মেসি নামের ৩০ মণের মহিষটির দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। কুচকুচে কালো-বাদামি রঙের মহিষটি লম্বায় ১০ ফুট ও উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট। প্রতিদিন মেসির খাদ্য তালিকায় রয়েছে ভূসি, সবুজ ঘাস ও খড়।
আলী অ্যাগ্রো ডেইরি ফার্মের মালিক সৈকত আলী রনি বলেন, এবারের কোরবানির ঈদের জন্য আমার ফার্ম থেকে এক হাজার গরু-মহিষ বিক্রি করার টার্গেট রয়েছে। এরই মধ্যে ৫০ শতাংশ গরু বিক্রি হয়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আমার এই ফার্ম থেকে গরু কিনতে আসেন। আশা করছি, গতবারের তুলনায় এবার আমরা আরও বেশি গরু বিক্রি করতে পারব। ফার্মটির বড় দু’টি পশু ‘মেসি’ ও ‘নেইমারের’ দামের বিষয়ে তিনি বলেন, আলোচনা সাপেক্ষে দাম কিছুটা কম রাখা যাবে।
এদিকে, ২০১৮ সালে কক্সবাজার পৌরসভার কোরবানির পশুর হাটে ওঠা মেসি নামের গরুর দাম উঠেছিল চার লাখ টাকা। জেলার চৌধুরী এগ্রো ফার্মের ওই গুরুর ওজন ছিল ১২ মণ।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনএস