Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

টাইটানিক দেখতে গিয়ে ছেলেসহ নিখোঁজ পাকিস্তানি ধনকুবের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২১ জুন ২০২৩ ২২:৫৬

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ডুব দেওয়ার পর হারিয়ে গেছে হারিয়ে গেছে সাবমার্সিবল ‘ওশানগেইট টাইটান’। সাবমার্সিবল এক ধরনের ছোট কিন্তু শক্তিশালী ডুবোজাহাজ। এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বলছে, সাবমার্সিবলটিতে পাঁচজন মানুষের জন্য ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন মজুত ছিল। অনুসন্ধানী দলগুলো এখনও ডুবোজাহাজটিকে খুঁজে চলছে। তবে নিখোঁজদের খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে জানিয়েছে ডুবোজাহাটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ওশানগেইট।

ছোট কিন্তু শক্তিশালী এই ডুবোযানে ছিলেন যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী পাকিস্তানের বিলিয়নিয়ার শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলাইমান দাউদ (১৯)। শাহজাদা দাউদ যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রিন্স ট্রাস্ট দাতব্য সংস্থার বোর্ড মেম্বার ছিলেন। এ ছাড়া দাউদ পরিবার পাকিস্তানের সবচেয়ে ধনী পরিবারগুলোর মধ্যে একটি। সাবমার্সিবলটির বাকি তিন আরোহী হলেন- আরেক ব্রিটিশ বিলিয়নিয়ার হামিস হার্ডিং, খ্যাতিমান ফরাসি পর্যটক পল হেনরি নরজিওলট এবং ডুবোযানটির মালিক প্রতিষ্ঠান ওশানগেটের প্রধান নির্বাহী (সিইও) স্টকটন র‍্যাস।

কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে আটলান্টিক মহাসাগরে সাড়ে ১২ হাজার ফুট গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখানোর জন্য ছোট সাবমার্সিবল ডুবোযানে করে পর্যটক ও গবেষকদের নিয়ে যাওয়া হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আটলান্টিকের তলে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের পৌঁছাতে এবং আবার ভেসে উঠতে প্রায় আট ঘণ্টা লাগে। এর জন্য পর্যটকদের গুণতে হয় কয়েক হাজার ডলার।

উল্লেখ্য, ১৯১২ সালে যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে প্রথম যাত্রাতেই ভাসমান হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে টাইটানিক ডুবে যায়। এই দুর্ঘটনায় জাহাজে থাকা ২ হাজার ২০০ যাত্রী ও ক্রুদের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার নিহত হন। ১৯৮৫ সালে পানির ১২ হাজার ৫০০ ফুট নিচে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার হয়। এরপর থেকেই ক্রমান্বয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য বিশ্বব্যাপী মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।

সারাবাংলা/এসবিডিআই/পিটিএম

টপ নিউজ টাইটানিক পাকিস্তানি ধনকুবের


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর