২ বছরের শিশু হত্যা: প্রতিবেশীর আমৃত্যু কারাদণ্ড
২২ জুন ২০২৩ ১৭:১১
ঢাকা: ২০১৯ সালে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার দীননাথ সেন এলাকায় দুই বছরের শিশুকে তিনতলার বারান্দা থেকে ফেলে হত্যা অভিযোগের মামলায় আসামি জান্নাতুল ওয়াইশ ওরফে নাহিদকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত আসামি উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। আমৃত্যু কারাদণ্ডেরর পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, দীননাথ সেন রোডের ৫৩/১/ছ নম্বর চার তলা বাড়ির পাশে টিনশেড বস্তিতে মা-বাবা ও তিন বোনের সঙ্গে থাকত আড়াই বছরের শিশু আয়েশা। ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি বাসায় গ্যাস সংযোগ না থাকায় বিকেলে আয়েশার মা পাশের বাসায় রান্না করতে যান। তখন আয়েশা রুমেই ছিল। এক পর্যায়ে আয়েশার মা রুমে আসেন। তখন মেয়েকে দেখতে না পেয়ে অস্থির হয়ে পড়েন। সন্ধ্যার পর আশপাশের মানুষের চেঁচামেচি শুনে ছুটে যান বাসার পাশের গলিতে। সেখানে গিয়ে দেখেন ময়লার ট্রলির পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে তার মেয়ে। দ্রুত আয়েশাকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিযে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় শিশুটির বাবা মো. ইদ্রিস বাদী হয়ে গেন্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত নাহিদ হোসেন শিশুটিকে ধর্ষণের পর চারতলা বাড়ির তিনতলা থেকে নিচে ফেলে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর পিবিআই’র উপ-পুলিশ পরিদর্শক সাদেকুর রহমান নাহিদকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বলা হয়, ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে দুই বছরের শিশু আয়েশা মনিকে পরিকল্পিতভাবে তিন তলার বারান্দা থেকে ফেলে হত্যা করে নাহিদ।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন সাক্ষ্য দেন।
সারাবাংলা/এআই/এনএস