বেড়েছে পেঁয়াজ-আদা ও চিনির দাম, স্থিতিশীল রসুন
২৩ জুন ২০২৩ ১৮:২৯
ঢাকা: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ। সেই সঙ্গে আদা ও চিনির দামও বেড়েছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে রসুনের বাজার। ফলে ঈদের আগে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় চাপ বাড়বে ক্রেতাদের ওপর।
শুক্রবার (২৩ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরা কাঁচাবাজার ও বাড্ডা কাঁচা বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গিয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিলো ৭৫-৮০ টাকায়। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আমদানি করা এই পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া দাম বেড়েছে আদারও। গত সপ্তাহে আমদানি করা ভিয়েতনামের আদা বিক্রি হয়েছিলো ২৮০ টাকা কেজি, যা আজ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়।
বসুন্ধরা কাঁচা বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বলেন, ‘সামনে ঈদ, নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে। গতকাল রাতে মোকামে গিয়ে সবকিছুর দাম বেশি। আমরা কি করবো বলেন। ৫০ কেজির পেঁয়াজের বস্তায় ৫০০ টাকা বেশি। এখন আমরা কিভাবে বিক্রি করবো। আদার দাম বেশি। আমরা তো লোকসান করে বিক্রি করতে পারি না। যেমন কিনবো তেমনি বিক্রি করবো।’
বসুন্ধরা কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রাশেদ লিমন বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়েছে, আদারও দাম বেড়েছে। সামনে ঈদ কমবেশি এই দুটি সামগ্রী প্রতিটি পরিবারের প্রয়োজন। ঈদের আরও বেশিদিন সময়ও নেই। এখন যদি দাম না কমে তাহলে ক্রেতাদের ওপর চাপ বাড়বে।’
এদিকে বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, খোলা চিনির দামও বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। গত সপ্তাহে খোলা চিনি ১৪০ টাকা বিক্রি হলেও আজকে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা কেজি। তবে বাজারে রসুনের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ভারতীয় রসুন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে চিনি কিনতে আসা ক্রেতা মাইনুদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের পরে চিনির দাম শুনছি নাকি আরও বাড়বে। এখনি তো খোলা চিনির দাম বেড়েছে। বাচ্চাদের জন্য চিনির প্রয়োজন হয়। নিত্যপণ্যের সামগ্রীর দাম যদি এভাবে বাড়বে থাকে তাহলে বিপদ বাড়তেই থাকে।’
এদিকে চিনির বাজার সম্পর্কে জানতে চাইলে বসুন্ধরা কাঁচা বাজারের আঁখি জেনারেল স্টোরের কর্ণাধর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে চিনি নেই, প্যাকেট চিনিও নেই। খোলা চিনি সামান্য পাওয়া যাচ্ছে। তাতেও দাম বেশি। আমাদের বেশি দামেই কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরাও নিরুপায়।’
সারাবাংলা/এসজে/এমও