টাইটানের পরিণতি ‘আগেই বুঝতে পেরেছিলেন’ টাইটানিক ছবির পরিচালক
২৩ জুন ২০২৩ ১৯:২৯
ঢাকা: হলিউড ফিল্ম নির্মাতা এবং বিখ্যাত টাইটানিক ছবির পরিচালক জেমস ক্যামেরন বিবিসিকে বলেছেন যে ডুবোযান টাইটানের বিপর্যয়কর এই পরিণতি সম্পর্কে তিনি ‘আগেই বুঝতে পেরেছিলেন।’
জেমস ক্যামেরন ১৯৯৭ সালে এই সিনেমাটি তৈরি করতে গিয়ে, আটলান্টিক সাগরের যেখানে টাইটানিক জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ শতাধিক বছর ধরে ডুবে আছে, সেখানে তিনি ৩৩ বার গিয়েছিলেন।
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ১৯১২ সালের এই জাহাজ দুর্ঘটনা নিয়ে তিনি টাইটানিক চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন যা সারা বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করেছিল।
জেমস ক্যামেরন জানান, টাইটান ডুবোযানটি রোববার যখন নিখোঁজ হয়ে যায়, সেসময় তিনি একটি জাহাজে ছিলেন এবং সোমবার সকালে ঘুম থেকে ওঠার আগ পর্যন্ত তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না।
ক্যামেরন জানান, তিনি যখন জানতে পারেন যে ডুবোযানটি একই সময়ে তার নেভিগেশন ও যোগাযোগ দুটোই হারিয়ে ফেলেছে, তখনই তিনি তাৎক্ষণিকভাবে একটি বিপর্যয়ের আশঙ্কা করেছিলেন।
‘আমি বুঝতে পারছিলাম কী হয়েছে। ডুবোযানটির ইলেকট্রনিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে, একই সঙ্গে এর ট্র্যাকিং ট্রান্সপন্ডারও অকেজো হয়ে গেছে, তখনই বুঝেছি- এটা শেষ।’
সিনেমার এই পরিচালক আরো বলেন, ‘এ ধরনের ডুবোযানের বিষয়ে যার কাজ করেন তাদের কয়েকজনের সঙ্গে আমি সাথে সাথেই ফোনে যোগাযোগ করি। এক ঘণ্টার মধ্যেই আমি কিছু তথ্য পেয়ে যাই- তারা পানির নিচে অবতরণ করছে। ৩,৫০০ মিটার গভীরে। তারা যাচ্ছিল ৩,৮০০ মিটার নিচে সমুদ্রের তলদেশের দিকে।’
‘তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, এবং নেভিগেশন হারিয়ে ফেলেছে- আমি তখনই বললাম- চরম কোনো বিপর্যয় অথবা প্রচণ্ড শক্তিজনিত বিপর্যয় ছাড়া যোগাযোগ ও নেভিগেশন এই দুটোই একই সঙ্গে হারিয়ে ফেলা সম্ভব নয়।’
‘প্রথমেই আমার ইমপ্লোশনের (পানির প্রচণ্ড চাপে ডুবোযানটি দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ার) কথা মনে হয়েছিল’ বলেন তিনি।
এর আগে আমেরিকান কোস্ট গার্ডের একজন কর্মকর্তা জানান যে রোববার নিখোঁজ হয়ে যাওয়া টাইটানের পাঁচজন আরোহীই মারা গেছেন। ডুবোযানটি ‘বিপর্যয়কর ইমপ্লোশনের’ শিকার হয়েছিল বলে তারা ধারণা করছেন।
সারাবাংলা/একে