কোরবানির ঈদেও দুর্দিনে জয়পুরহাটের কামাররা

জয়পুরহাট: কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোরবানি ঈদের ভরা মৌসুমেও লোহার সামগ্রীর চাহিদা নেই বাজারে। প্রতিবছর কামারপল্লিগুলো হাতুড়ি পেটানোর টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে থাকে। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। লোহা ও কয়লার দাম বাড়ায় লোহার সামগ্রী তৈরিতে পুঁজি সঙ্কটে পড়েছেন কামাররা।

ঈদ ঘিরে পরিশ্রম করে তৈরি করা লোহার পণ্য বিক্রির প্রত্যাশা ছিল কর্মকারদের। কিন্তু আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় হতাশ জেলার কামাররা। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, গত বছরও কোরবানি ঈদের আগে ব্যস্ত সময় পার করেছেন জয়পুরহাটের দুর্গাদহ ও পুনট বাজারের কামার শ্রমিকরা। ঈদের আগে লোহার সামগ্রীর চাহিদা মেটাতে যেখানে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা টুং টাং শব্দে দিন কাটতো তাদের। এবার কয়লা ও লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় সেই ব্যস্ততা কমে গেছে। ঈদকে সামনে রেখে অনেকেই কামার শিল্পীদের কাছে পশু কাটার ছুরি, চাপাতি, দা, বটিসহ নানা জিনিস ক্রয় করে থাকে। উপকরণের দাম অনুযায়ী তৈরি করা লোহার সামগ্রীর দাম বেশি হওয়ায় কমে গেছে চাহিদাও। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন জেলার কামার শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার দুর্গাদহ বাজারের কামার শিল্পে জড়িত ব্যবসায়ী দুলাল কর্মকার ও কালাই উপজেলার পুনট বাজারের নির্মল কর্মকার জানান, গত বছর যে লোহার দাম ছিল প্রতি কেজি ৮০ টাকা। এখন তা কিনতে হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আর ২০ টাকা কেজির কয়লা কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকায়। লোকসান ও পুঁজি সঙ্কটে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে ক্রেতাদের সংখ্যা অনেক বেশি থাকে, কিন্তু এবার চিত্রটা আলাদা। পরিস্থিতি এমন যে, সময়মতো বেতন দিতে না পারায় কর্মচারী পাওয়া যাচ্ছে না।

জয়পুরহাট বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র ঘোষ জানান, কোরবানি ঈদের আগে কামার শিল্পীদের সকল পণ্যের চাহিদা রয়েছে। তাদের আর্থিক বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন পরে তাহলে বিসিক জেলা কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।

সারাবাংলা/এসকে/এনএস

কামার শিল্প