রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করেছে লাটভিয়া
২৪ জুন ২০২৩ ২১:০৪
উদ্ভূত সংকটে গোটা বিশ্ব সতর্কভাবে রুশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। দেশটির প্রতিবেশীরা কিছু সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। লাটভিয়া রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
গত বছর ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর লাটভিয়া সীমান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ রাশিয়া ত্যাগ করেছেন। এবারের সংকটেও এমন পরিস্থিতির আশঙ্কা লাটভিয়ার। তাই আগেভাগেই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি।
এক টুইট বার্তায় লাটভিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমান ঘটনাবলীর কারণে রাশিয়া থেকে কেউই লাটভিয়া প্রবেশের জন্য বিবেচিত হবেন না।
এদিকে রাশিয়ার আরেক প্রতিবেশী এস্তোনিয়াও বলেছে, তারা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী কাজা ক্যালাস জানিয়েছেন, তিনি লাটভিয়ান, লিথুয়ানিয়ান এবং ফিনিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রুশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা ও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছেন।
পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বহু দেশ বলেছে তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ জানিয়েছে, তারা মস্কোর দিকে চোখ রাখছে, কিন্তু তাদের প্রধান মনোযোগ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়া। এসব দেশ জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখছে।
এর আগে, শুক্রবার রাতে মস্কোর সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের ডাক দেন ওয়াগনর প্রধান ইভজেনি প্রিগোজিন। তার বাহিনীর উপর রাশিয়ার সেনাবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ওই হামলায় ২ হাজার ওয়াগনর সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেন প্রিগোজিন। যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ওয়াগনর গ্রুপের এই বিদ্রোহে যে কোনো মূল্যে দমন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আরও পড়ুন
- ওয়াগনার গ্রুপ রুশ সেনাদের পিঠে ছুরিকাঘাত করেছে: এফএসবি
- রুশ সামরিক নেতৃত্ব উৎখাতের প্রতিশ্রুতি ওয়াগনার প্রধানের
- ওয়াগনার সেনাদের ঠেকাতে রাশিয়ায় সামরিক তৎপরতা
- জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন
- বিদ্রোহীদের দমনে চেচেনরা প্রস্তুত: রমজান কাদিরভ
- ওয়াগনার সেনারা মরতে প্রস্তুত: ইভজেনি প্রিগোজিন
- শীর্ষ রুশ জেনারেলদের চান ওয়াগনার প্রধান
সারাবাংলা/আইই