Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চসিকের সঙ্গে ইউনিলিভার-ইপসা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ জুন ২০২৩ ২১:৩৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল), চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোস্যাল এ্যাকশনের (ইপসা) সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে।

শনিবার (২৪ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ইউবিএল ও ইপসার সাথে চসিকের এই কাজ চট্টগ্রামে প্লাস্টিকের সার্কুলারটি বাড়াতে সাহায্য করবে জানিয়ে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘প্লাস্টিক মানব সভ্যতাকে সাহায্য করেছে কিন্তু প্লাস্টিক বর্জ্যের অব্যবস্থাপনা মানবজাতির জন্য পরিবেশগত হুমকি হয়ে দাঁডিয়েছে। চট্টগ্রামের খালগুলো প্লাস্টিক বর্জ্যের বিধ্বংসী প্রভাবে ভুগছে, যার ফলে মাছ মারা যাচ্ছে, জমি অনুর্বর হচ্ছে এবং বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।’

‘কর্ণফুলী নদী একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসাবে দাঁডিয়েছে, যেখানে জমে থাকা প্লাস্টিক নদীর প্রবাহকে বাধা দেয়, প্রচলিত ড্রেজিং প্রক্রিয়ার জন্য যা দুর্ভেদ্য। আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে এবং সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, আজকের এই আয়োজন একত্রে কাজ করার মাধ্যমে সঠিক পথে আগাবার ব্যাপারে আমাকে আশাবাদী করেছে। আমি আশাবাদী যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ইউনিলিভার বাংলাদেশ এবং ইপসা-এর মধ্যে সহযোগিতা স্থানীয় ভ্যালু চেইনকে উন্নত করতে, আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সহায়তা করতে এবং চট্টগ্রামে প্লাস্টিকের সার্কুলারটি বাড়াতে সাহায্য করবে।’

ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার বলেন, ‘ইউনিলিভার-এর বৈশ্বিক অঙ্গীকারের অংশ হিসাবে বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে, আমরা ২০২০ সাল থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবনী পদ্ধতি ব্যবহার করছি, যার মধ্যে প্যাকেজিংয়ে উদ্ভাবন এবং প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহের জন্য একটি টেকসই মডেল তৈরি এবং পরিচালনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

‘বাংলাদেশের ‘ভিশন ২০৪১’ বাস্তবায়নে আমাদের অবশ্যই প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলা করতে হবে এবং আমাদের পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। ইউনিলিভার-এ আমরা আমাদের মাল্টিস্টেকহোল্ডার মডেলের মাধ্যমে কাজ শুরু করেছি ও কাঙ্খিত পরিবর্তন আনতে ভ্যালু চেইনের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে চট্টগ্রাম থেকে সাত হাজার টনেরও বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেছি এবং সংগ্রহ করা প্লাস্টিকের ১০০ শতাংশ পুনর্ব্যবহার নিশ্চিত করেছিস। তবে এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক প্লাস্টিক দূষণ উন্নতির জন্য যথেষ্ট নয়।’

“তাই আমরা চসিক ও ইপসার সঙ্গে অংশীদারীত্ব গড়ে তুলেছি, যাতে আমাদের ‘ইকোনোমিস অব স্কেল’ অর্জনের প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করতে পারি। আমাদের এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা চট্টগ্রাম শহরকে প্লাস্টিক সার্কুলারিটি ভিশনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।”

ইয়ং পাওয়ার ইন এ্যাকশনের (ইপসা) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ‘ইপসা চট্টগ্রামে তার যাত্রা শুরু করেছিল এবং তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এই শহরের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরটির উন্নয়ন হলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিশেষ করে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একই হারে বাড়েনি।’

‘ফলশ্রুতিতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও সামুদ্রিক বর্জ্যের পরিমাণ বেড়েছে। এই কারণে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করা আমাদের জন্য খুবই তাৎর্পযপূর্ণ। আমাদের শহরের পরিবেশ রক্ষায় এবং সাসটেইনেবল প্র্যাকটিস চর্চায় এই উদ্যোগ প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।’

অনুষ্ঠানে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর মোবারক আলী, অ্যাক্টিং চিফ কনজারভেন্সি অফিসার আবুল হাশেম, পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন।

সারাবাংলা/আইসি/একে

ইউনিলিভার চসিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর