বাণিজ্যমন্ত্রী যখনই বলেন দাম কমাবেন পরদিনই বেড়ে যায়: চুন্নু
২৫ জুন ২০২৩ ২৩:৪৬
ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী যখনই বলেন জিনিসপত্রের দাম কমাবেন পরদিনই বেড়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীদল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। বাণিজ্যমন্ত্রী সিন্ডিকেটে জড়িত কি না এমন প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
রোববার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অর্থবিল ২০২৩ এর সংশোধনী প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে চুন্নু এমন কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘সুইস ব্যাংক থেকে বাংলাদেশিদের ডলার সরিয়ে নেওয়া হলো, ওই টাকাগুলো কারা রেখেছিল। একটু কি কোনো সংস্থা নাই, ইন্টারন্যাশনালি ভাড়া করতে পারেন না যে চোরের ঘরের চোরগুলো কারা। কারা টাকা পাচার করে এ সমস্ত ব্যাংকে রাখছে। বের করেন না একটু। এই যে ব্যাংকে এতো পরিচালক দিলেন ১২ বছর থাকতে পারবে দিলেন, এই যে ব্যাংকের লোকেরা পরিচালকরা যে লোন নেয় আবার দেখা যায় টাকা নিয়ে চলে যায় এগুলো একটু নিয়ন্ত্রণ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক করেটা কী? এই যে এতো টাকা মার যায় এটা কি বাংলাদেশ ব্যাংক জানে না? এটা যে ব্যাড লোন এটা কি বাংলাদেশ ব্যাংক জানে না, হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে চলে যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক জানে না। এগুলো শক্ত হাতে ধরেন, এতো নরম হলে, চুপচাপ বসে থাকলে হবে না। ধরেন ঘাড়ের মধ্যে, ভালো করে ধরেন।’
চুন্নু বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীকে বলব, গ্রামের মানুষ খুব কষ্টে আছে জিনিসপত্রের দামের কারণে। এক মণ ধান বিক্রি করে ১ কেজি গরুর মাংস কেনে। ধান এক মণ ৯০০ টাকা বিক্রি করি গরুর মাংস ৮০০ টাকা। এক মণ ধান বিক্রি করে ১ কেজি খাসির মাংস কিনতে পারে না, ১১০০ টাকা। এক কেজি ইলিশ মাছ কিনতে লাগে দুই মণ ধান। ছোটখাটো কৃষকরা আসলে খুব কষ্টে আছে। একদম নিম্নবিত্ত যারা কষ্টে আছে তাদের প্রতি একটু সহনশীল হন। বাজার একটু নিয়ন্ত্রণ করেন।’
বাণিজ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে চুন্নু বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী, উনি যখনই বলেন জিনিসপত্রের দাম কমাবেন, পর দিনই বেড়ে যায়। এটা কোনটা, সিন্ডিকেট, উনি কি সিন্ডিকেটে জড়িত কি না বিষয়টা দেখেন। কারণ উনি যখনই বলেন কমাবেন, কন্ট্রোল করবেন তখনই দাম বেড়ে যায়। আসলে বাজারে নিয়ন্ত্রণটা লাগবে, নিয়ন্ত্রণ নাই।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/আইই