Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের শ্রদ্ধা

সারাবাংলা ডেস্ক
২৬ জুন ২০২৩ ২৩:২৪

ঢাকা: শহিদ জননী জাহানারা ইমামের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (২৬ জুন)। ১৯৯৪ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। দিনটি উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ। সোমবার (২৬ জুন) বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত-বিবৃতিতে এ শোক জানান।

যুক্ত-বিবৃতিতে তারা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনে ও নাগরিকত্ব দেয়। সারাদেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে তুমুল আন্দোলন চলছিল, সেই সময় ১৯৯১ সালে সেই যুদ্ধাপরাধী সাম্প্রদায়িক দল জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে তাদের দলের আমির নিযুক্ত করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার দাবিতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক জোট ১৫ দল ও ৫ দল, ১৪টি ছাত্র সংগঠন ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ ৭০টি ছোট-বড় সংগঠনের সমন্বয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ গঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বামী-পুত্র হারানো ও ‘একাত্তরের দিনগুলি’ নামের সাড়া জাগানো বইয়ের লেখক, বিশিষ্ট অধ্যাপক জাহানারা ইমামকে সর্বসম্মতিক্রমে এই সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচন করা হয়।

এই সমন্বয় কমিটি তার লাগাতার আন্দোলনের মাধ্যমে সব শ্রেণি-পেশা ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেই সময় ১৯৯২ সালে এই কমিটি কর্তৃক মনোনীত একটি গণ-আদালত চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের একাত্তর সালের মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের বিষয়গুলো উত্থাপন ও বিচার-বিশ্লেষণ করে তাকে ১০টি বিভিন্ন অপরাধকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার মতো অপরাধ বলে মতামত ব্যক্ত করে। এরপর থেকে বিএনপি সরকারের তীব্র বিরোধিতার পরও সারা দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি আরও জোরদার হয়।

জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে পরিচালিত এই শান্তিপূর্ণ ও নীতিগত আন্দোলন সমগ্র তরুণ সমাজ তথা জনগণকে প্রচণ্ডভাবে উদ্দীপ্ত করে। বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর একাত্তরের মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ ও বিচারের দণ্ড কার্যকর করা শুরু হয়। কিন্তু ‘শহিদ জননী’ জাহানারা ইমাম এই বিচার দেখে যেতে পারেননি। তার আগেই তিনি প্রয়াত হন।

সারাবাংলা/পিটিএম

বঙ্গবন্ধু পরিষদ মৃত্যুবার্ষিকী শহিদ জননী জাহানারা ইমাম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর