ঢাকা: শিক্ষার মান না থাকায় আশুলিয়ার বেসরকারি নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজের অনুমোদন স্থায়ীভাবে বাতিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত বৃহস্পতিবার (২২ জুন) মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা-২ শাখার উপ-সচিব মাহবুবা বিলকিসের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২ এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১১ (সংশোধিত) অনুসারে কলেজটি পরিচালিত না হওয়ায় বর্ণিত আইন অনুযায়ী বেসরকারি নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের নীতিগত ও একাডেমিক অনুমোদন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২২ এর ধারা ২৪ অনুযায়ী স্থগিতকৃত বেসরকারি নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের অনুমোদন নির্দেশক্রমে স্থায়ীভাবে বাতিল করা হলো বলে উল্লেখ করা হয়েছে নোটিশে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে এক সভায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নাইটিংগেল মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০১২ এবং ‘বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১১ (সংশোধিত)’ অনুসারে কলেজটি পরিচালিত না হওয়ায় এর অনুমোদন বাতিল করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক ও হাসপাতালে রোগী না থাকাসহ বিভিন্ন সংকটের কারণে গত কয়েক বছর ধরেই শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল কলেজটি। এরপরও গোপনে শিক্ষার্থী ভর্তি নেয় তারা। এ বছর এমবিবিএস ভর্তিতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু হওয়ায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের তালিকা থেকেও বাদ পড়েছে কলেজটি।
এর আগে, নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে নাইটিংগেল মেডিক্যাল কলেজসহ বেসরকারি পাঁচটি মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা না থাকায় নাইটিংগেল মেডিক্যাল কলেজের ২০১৭-১৮ বর্ষের ৪৫ জন শিক্ষার্থী অন্য বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে মাইগ্রেশনের মাধ্যমে স্থানান্তরের সুযোগ চেয়ে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে হাইকোর্টে রিট করেন। চতুর্থ বর্ষের ৫২ শিক্ষার্থীকে অন্য বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
গত ৪ জুন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।