বেনাপোল: ঈদুল আজহার পাঁচ দিনের সরকারি ছুটিতে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে বন্ধ থাকবে আমদানি-রফতানি। দুই দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকেই আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার সরকারের নির্বাহী আদেশে ছুটি। ঈদুল আজহা উপলক্ষে বুধবার, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটিতে আমদানি-রফতানিসহ বন্দরের কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। আগামী রোববার (২ জুলাই) থেকে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে।’
এর ফলে উভয় বন্দর এলাকায় তীব্র ‘ট্রাকজটের’ আশঙ্কা করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, ছুটির এ কয়দিন কাস্টমস ও বন্দরের কাজ বন্ধ থাকলেও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল চেকপোস্টের ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান হাবীব।
বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘লম্বা ছুটিতে বন্দর ও কাস্টমসের অনেক কর্মকর্তা বাড়ি চলে যান। ফলে ৫ জুলাইয়ের আগে বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরবে না।’
এদিকে পেট্রাপোল বন্দরে ট্রাকজট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘বন্দরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁও টার্মিনালে কয়েকশ পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকে আছে। যেগুলো বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষা করছে।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, ‘প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর থেকে তিনশ থেকে চারশ ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোলে ঢোকে। আবার বেনাপোল দিয়ে দুইশ থেকে আড়াইশ’ ট্রাক রফতানি পণ্যচালান যায় ভারতে। লম্বা ছুটির কারণে বন্দরে পণ্যজট তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। তাই বিশেষ ব্যবস্থায় অফিস খুলে দ্রুত পণ্যচালান ডেলিভারি দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’