সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ, নেই যানজট
২৭ জুন ২০২৩ ১৫:২১
সিরাজগঞ্জ: ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নাড়ির টানে প্রিয়জনদের কাছে ফিরছেন মানুষ। গতকাল সোমবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে চাপ বেশি থাকলেও, কমে যায় মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। তবে ব্যাপকভাবে যানবাহনের চাপ বাড়লেও স্বাভাবিক রয়েছে ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়ক। কোথাও কোনো ধীরগতি বা যানজট নেই। সকালের ঢাকাগামী লেনের ধীরগতিও কেটে গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাসড়কের যানজট আতঙ্কে থাকা বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কজুড়ে যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে। তবে মহাসড়কের প্রতিটি পয়েন্টেই স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামত করা হয়েছে। মহাসড়কের যানজট সৃষ্টি করা সংযোগ সড়কগুলো বাঁশ দিয়ে আটকিয়ে দেওয়া হয়েছে। যানবাহনগুলোকে যত্রতত্র থেকে যাত্রী তোলা ও নামাতে দেওয়া হচ্ছে না।
সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রনি পোদ্দার বলেন, ‘ক্রমান্বয়ে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তবে কোথাও কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই। কোনো গাড়িকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী নামাতে ও তুলতে দেওয়া হচ্ছে না। মহাসড়কে কোনো পরিবহন যেন এলোমেলো ঢুকে যানজটের সৃষ্টি না করতে পারে সেদিকে খুব খেয়াল রাখা হচ্ছে।’
মহাখালী থেকে ছেড়ে আসা নওগাঁগামী শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের সুপারভাইজার রতন ব্যাপারী বলেন, ‘সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের এবার এখনো কোথাও কোনো যানজট বা ধীরগতি পাইনি। তবে এলেঙ্গা থেকে কিছুটা যানজট ও সেতু পূর্ব পাড়ে টোল আদায়ের কারণে কিছু গাড়ি টোল প্লাজার সামনে কিছুটা ধীরগতিতে পড়ছে। পুরো ঈদযাত্রাটা এভাবে চললে যাত্রীদের ও আমাদের পরিবহন শ্রমিকদের যাতায়াতটা নির্বিঘ্ন হবে।’
হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা থেকে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল কবীর বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাত থেকে মহাসড়কে গাড়ির চাপ অনেকটা বেড়েছে। আজ (মঙ্গলবার) স্বাভাবিকের চেয়ে গাড়ি কয়েকগুণ বেশি চলাচল করছে। তবে কোথাও কোনো ধীরগতি বা যানজটের মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। এছাড়াও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা তৎপর রয়েছি।’
সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক বলেন, ‘বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে যানবাহন অনেকগুণ বেড়েছে। তবে মহাসড়কে চাপ থাকলেও কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই। আশা করছি উত্তরবঙ্গের ঘরে ফেরা মানুষের গত ঈদের মতো এবারের ঈদযাত্রাও নির্বিঘ্ন হবে। এছাড়াও যানবাহন ও ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে ও সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছি।’
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর হয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর দিয়ে দেশের উত্তর ও দক্ষিণের ২২ জেলার মানুষ চলাচল করে। এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৭-১৮ হাজার যানবাহন চলাচল করে। তবে ঈদের সময় এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫-৪৫ হাজারে। এই সময়ে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে প্রতি বছরই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। তবে গত ঈদুল ফিতরে তেমন কোনো যানজট সৃষ্টি হয়নি এই মহাসড়কে। এই ভোগান্তি এড়াতে এবার ঈদযাত্রায় নলকা আন্ডারপাস ও বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/আরএন/এনএস