Saturday 19 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কাঁচা চামড়া পাচার বন্ধে সীমান্তে কঠোর নজরদারি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৭ জুন ২০২৩ ১৯:৩৬ | আপডেট: ২৭ জুন ২০২৩ ২১:২০

ঢাকা: পার্শ্ববর্তী দেশে চোরাইপথে অবৈধভাবে কুরবানির পশুর চামড়া  পাচার না হয় সেজন্য সীমান্তে কঠোর নজরদারি করবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। চামড়া পাচার বন্ধে নজরদারির পাশাপাশি বাড়তি বিজিবির সদস্য মোতায়েনসহ টহল টিম বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া থাকবে নানা সতর্কতামুলক ব্যবস্থা।

বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা, নেত্রকোণা, সিলেট, সুনামগঞ্জ, ব্রাম্মণবাড়িয়া, ফেনী ও কক্সবাজারে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বিজিবির সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নগুলো।

বিজিবির সংশ্লিষ্ট রিজিওনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে পশুর চামড়ার মূল্য অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ায় এবারের কোরবানির পশুর চামড়া যেন কোনোভাবে ভারতে পাচার হতে না পারে, সে ব্যাপারে সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে বিজিবি। এদিকে সীমান্তে বিজিবির কঠোর নজরদারি ও সর্তকতার কারণে এবছর ভারতীয় গরু না আসায় স্বস্তি ফিরেছে দেশীয় খামারিদের। ভারতীয় গরু না আসায় দেশীয় গরুর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, জয়পুরহাটের-২০ বিজিবি, বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের নিয়ন্ত্রণাধীন ৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ জয়পুরহাট, পাঁচবিবি ও হিলি সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ, স্পর্শকাতর ও অরক্ষিত পয়েন্টসহ সীমান্তজুড়ে নেওয়া হয়েছে বিশেষ সর্তকতা। এ ছাড়া অতিরিক্ত ফোর্স (বিজিবি সদস্য) মোতায়েন করা হয়েছে।

জয়পুরহাট-২০ বিজিবি বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু আসা বন্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সীমান্তের চোরাই পথ দিয়ে কোরবানির পশুর চামড়া যেন কোনোভাবে ভারতে পাচার হতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘জয়পুরহাটের ২০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের নিয়ন্ত্রণাধীন সীমান্তের সর্বত্র অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করে টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি, সীমান্তের ২৪ ঘণ্টা কড়া নজরদারি ও পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন গোপনে দিনে কিংবা রাতে কোনোভাবে কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে পাচার না হতে পারে।’

এদিকে লালমনিরহাটের সীমান্ত এলাকার মানুষজন ও বিজিবি ক্যাম্পগুলোতে কর্মরত বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে যত পাচার হয়ে থাকে তা দেশের মোট চামড়া পাচারের প্রায় অর্ধেক। এজন্য গত কয়েক বছরের ন্যয় এবারও সীমান্ত কড়া পাহাড়া বসানো হয়েছে। এতে একদিকে যেমন গরু আসতে পারছে না অন্যদিকে ঈদের দিন থেকে বেশ কয়েকদিন কাঁচা চামড়া পাচার করতে পারবে না কেউ। বিজিবির টহল দল বাড়ানো হয়েছে। সিগনালিং ব্যবস্থাসহ গোয়েন্দ তথ্যও কাজে লাগানো হচ্ছে। ঈদের সময়টাতে চামড়া পাচারের পাশাপাশি মাদকের আনাগোনাও বেশ বেড়ে যায়। এই কঠোর নজরদারির ফলে সেটিও প্রায় বন্ধের পথে।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বিজিবি সদর দফতরের পরিচালক (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম এম জাহিদ পারভেজ ফোন করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

জানতে চাইলে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিবছর কোরবানির ঈদের চামড়া পাচার ঠেকাতে বিজিবি সীমান্ত এলাকায় পাহারা জোরদার করে। নজরদারি চালায় যাতে চামড়া পাচার না হয়।’

সারাবাংলা/ইউজে/একে

কাঁচা চামড়া কোরবানির পশু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর