Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঈদের পরে রাজপথ উত্তপ্ত হচ্ছে, সরকারও হার্ডলাইনে

আজমল হক হেলাল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৮ জুন ২০২৩ ২৩:২৯

ঢাকা: ঈদের পরেই রাজপথ উত্তপ্ত হচ্ছে। বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করবে। শুরুতেই তারা দেশ অচল করার কর্মসূচি ঘোষণা করবে। অপর দিকে সরকারও হার্ডলাইনে রয়েছে। বিরোধী দলের আন্দোলনে জান-মালের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতিকর হওয়ার মত কর্মকাণ্ড হলে সরকার কঠোরভাবে তা দমন করবে। বিরোধীদলগুলো এবং রাষ্ট্রের একাধিক সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

বিরোধী দলগুলোর একাধিক সূত্র জানায়, গণতন্ত্র মঞ্চেরে নেতাদের সঙ্গে বিএনপির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শুরু থেকেই টানাপোড়েন চলে আসছো। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ বিএনপির সঙ্গে একমঞ্চে উঠবে না। এক মঞ্চ থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি কিংবা এক সঙ্গে সমাবেশও করবে না। তবে তারা একই কর্মসূচি পৃথকভাবে ঘোষণা এবং পালন করবে।

বিজ্ঞাপন

দাবি আদায়ের জন্য শুরুতেই বিএনপি এবং গণতন্ত্র মঞ্চ সভা সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসুচি ঘোষণা করবে। তাদের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি সরকার সম্মান জানিয়ে দাবি মেনে না নিলে দেশ অচল করে দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করবে। ৫ জুলাই বিএনপির সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক হবে। ওই বৈঠক থেকে এক দফা সরকারের পদ ত্যাগের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

গনতন্ত্র মঞ্চ ও বিএনপির একাধিক সূত্র জানায় বিএনপি ও গনতন্ত্রমঞ্চের কর্মসূচির আগে বা পরে সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের বিষয় নিয়ে কোনো সুনির্দ্দিষ্ট লিখিত সমঝোতার প্রস্তাব সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় তা হলে সেটি তারা বিবেচনায় নিয়ে যৌথ বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে। গত নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে যে ভুলটি করেছে তা তারা করবে না। আন্দোলনের ক্ষেত্রেও তারা অতীতের মতো ঘরে ফিরে যাবে না।

সূত্র জানায়, বিএনপি এবং গণতন্ত্রের শরিক দলগুলো জেলা ও থানা পর্যায় নেতা-কর্মীদের এক দফা সরকার পতনের আন্দোলনে জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। ওই নির্দেশ অনুযায়ী এক দফা আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে আগে নেতা-কর্মীরা গণসংযোগ অব্যহত রেখেছে।

এ বিষয় দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকজন নেতা তাদের নাম গোপন রাখার শর্তে জানান, দাবি আন্দোলনের জন্য তারা প্রস্তুত। তবে আন্দোলনের ফলাফল কী হবে তা নিয়ে শংকিত।

জেলা পর্যায়ের পুলিশ প্রশাসনের দুই একজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা জানা গেছে, জান-মালের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের কোনো ক্ষতি তারা হতে দিবে না।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘গণতন্ত্র মঞ্চ বিএনপির সঙ্গে এক মঞ্চে উঠবে না। তবে দাবি আদায়ের জন্য ধারাবাহিকভাবে একই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের গতি সেপ্টেম্বর মাসে জোরালো হতে পারে।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আমরা চাইব সরকার জনগণের পক্ষের দাবির প্রতি সরকার সম্মান জানাবেন। নিশ্চই আমাদের বাধ্য করবে না হার্ড লাইনে যেতে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপি তো চাচ্ছে অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়ন ধারাকে ব্যাহত করতে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নয়নের আলোর তরিতে বয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তখন তারা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। তাদের উসকানিমূলক বক্তব্য জনগণ গ্রহন করবে না। সরকার দেশ ও জনগনের জানমালের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় পদক্ষেপ নেবে।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

আন্দোলন গণতন্ত্র মঞ্চ বিএনপি রাজপথ

বিজ্ঞাপন

খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমলো
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর