Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুরোপুরি উৎপাদনে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র

মনিরুল ইসলাম দুলু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৯ জুন ২০২৩ ১২:০০

রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ছবি: সারাবাংলা

বাগেরহাট: জেলায় অবস্থিত রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২য় ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়েছে। ফলে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গত বছর ১৭ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে। ওই সময় জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত করা হয়। তবে তিন দফা উৎপাদন বন্ধ করার পর সর্বশেষ কয়লা সংকটের কারণে গত ২৩ এপ্রিল রাতে প্রথম ইউনিট বন্ধ হয়। এর ২৩ দিন পর কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক হলে ফের উৎপাদন শুরু হয়। আর গতকাল বুধবার (২৮ জুন) উৎপাদনে আসে ২য় ইউনিট। যা পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর উৎপাদনে যাওয়ার ২২ দিন পরই কয়লার মজুত শেষ হয়ে যায়। ডলার সংকটে এলসি খুলতে না পারায় রিজার্ভ কয়লা দিয়ে আরও পাঁচ দিন উৎপাদন চালু রাখা হয়। পরে ৪ জানুয়ারি ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার প্রথম ইউনিটটি বন্ধ করা হয়। তবে কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক হলে এক মাসের মাথায় আবার উৎপাদনে ফেরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রেটি। এরপর গত ১৫ এপ্রিল রাতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবারও বন্ধ হয়ে যায়। এর তিন দিন পর গত ১৮ এপ্রিল সচল হলেও কয়লা সংকটে ২৩ এপ্রিল রাতে ফের উৎপাদন বন্ধ হয়। পরে কয়লার সংস্থান হলে ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়। এখন নিয়মিত উৎপাদন হচ্ছে বিদ্যুৎ। এর মধ্যে গতকাল বুধবার ২য় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলো। ফলে পুরোপুরি উৎপাদনে এসেছে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘গত বছর ১৭ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের উৎপাদিত ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ৪০০ মেগাওয়াট গোপালগঞ্জের আমিন বাজার হয়ে ঢাকার জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছিল। প্রথম ইউনিটের পর গতকাল বুধবার ২য় ইউনিটটি উৎপাদনে আসলে তা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করছি। বর্তমানে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎই উৎপাদন করছি।’

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ২০১৩ সালে এই কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অনুমোদন পায়। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ বিনিয়োগে রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় হওয়ায় পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে সমালোচনা করা হয়। তবে পরিবেশের বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

সারাবাংলা/এমআইডি/এনএস

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কোস্ট গার্ডের নতুন ডিজি জিয়াউল হক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩২

সম্পর্কিত খবর