বৃষ্টি মাথায় সারাদেশে ঈদ উদযাপন, থাকবে আরও দু’দিন
২৯ জুন ২০২৩ ১৩:১৩
ঢাকা: দেশজুড়ে আজ উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল থেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, রাজধানীসহ সারা দেশে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। রাজধানীতে দুপুর বারোটা পর্যন্ত ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বাতাসে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, এসময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তিনি জানান, উত্তরপূর্ব মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকার অবস্থানরত চাপটি দুর্বল করে চাপ হিসেবে একই এলাকার অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পাঞ্চাব, বিহার, উত্তর প্রদেশ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাংশ হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আরেক সতর্কবার্তায় রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজর এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে ৭২ ঘণ্টা পরে।
সারাবাংলা/জেআর/এমও