কোরবানির মাংস ৮০০ টাকা কেজি!
২৯ জুন ২০২৩ ২০:২৮
ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডা থেকে কম দামে কোরবানির মাংস কিনতে গুলশানের ঝিলপাড়ে এসেছেন মো. সফিক মিয়া। তিনি এবার কোরবানি দিতে পারেননি। ভরসা তাই বিক্রি হওয়া কোরবানির মাংস।
কিন্তু এখানে এসেও নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। কোরবানির মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এখানে। সেসময় একজন ব্যাগের মধ্যে কেজি তিনেক মাংস এনে বললেন ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবেন তিনি। ব্যাগের মধ্যে উঁকি দিয়ে চর্বির পরিমাণ দেখে কিছুটা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন সফিক মিয়া। শেষ পর্যন্ত দুই হাজার টাকায় তিন কেজি মাংস কিনে নিয়ে গেলেন তিনি।
ভ্যানচালক কুদ্দুস বাড়ি বাড়ি ঘুরে সারাদিন মাংস সংগ্রহ করেছেন। পরিবারের সদস্যরা গ্রামে। এখন ঝিলপাড়ে এসেছেন মাংস বিক্রি করতে। ৮০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করবেন তিনি।
চড়া দামের কারণে অনেকেই মাংস কিনতে এসে ফেরত গেছেন। পাঁচ/ছয়শ টাকায় কোরবানির মাংস কিনবেন বলে আশা করেছিলেন তারা।
৮০০ টাকা দিয়ে এক কেজি মাংস কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন, আমরা তো চাইতে যেতে পারি না। যে বেতন পাই তাতে সারাবছর মাংস কিনে খেতে পারি না। এখন কোরবানি ঈদের দিন এখানে কম দামে পাব মনে করে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে ৮০০ টাকার কমে ভালো মাংস পাওয়া যাচ্ছে না।
ঈদের আগে দোকান থেকে কেনেননি কেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, দোকানে তো হাড়-চর্বি দেয়। এখানে সলিড মাংস পাচ্ছি তাই কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
বাড়ি বাড়ি থেকে সংগৃহীত কোরবানির মাংসের এত দাম কেন— তা খোঁজ করতে গিয়ে জানা গেল— এখানে মাংসের চেয়ে ক্রেতা বেশি তাই দাম বেশি। আবার অনেকেই পাঁচ/ছয়শো টাকা দিয়ে কুড়ানো মাংস কিনে এনে এখানে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
যারা মাংস কিনতে এসেছেন তারা সকলেই নিম্ন আয়ের মানুষ। আত্মসম্মানের জন্য মাংস চাইতে যেতে পারেননি তাই কোরবানির ঈদের শেষ বিকেলে এসেছেন অল্পদামে কিছু মাংস কিনতে। অনেকেই আবার মাপজোখের দিকে না যেয়ে মাংস নিয়ে আসা কারও সঙ্গে সরাসরি দরদাম করছেন। কিন্তু খুব একটা লাভ হচ্ছে না তাতে। ৮০০ টাকার নিচে বিক্রি করতে কেউই রাজি হচ্ছেন না।
সারাবাংলা/আরএফ/আইই