ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে এডিসের লার্ভা বেশি!
৪ জুলাই ২০২৩ ২১:৫৯
ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়িতে ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে বলে দাবি স্বাস্থ্য অধিদফতরের। এ ছাড়া ডিএনসিসি ২৭টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু সংক্রমণের হার ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ বাড়িতে ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এই সিটি করপোরেশনের ২৮টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু সংক্রমণের হার ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে বলে দাবি স্বাস্থ্য অধিদফতরের।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভা কক্ষে দেশে চলমান ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রি-মনসুন সার্ভের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকা উত্তর সিটির ৪০টি ওয়ার্ডে এবং দক্ষিণ সিটির ৫৮টি ওয়ার্ডে সর্বমোট ৩ হাজার ১৪৯টি বাড়িতে সার্ভে করেছি, এর মধ্যে ৫৪৯টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের স্বীকৃত পদ্ধতি ‘ব্রুটো ইনডেক্স’র মানদণ্ডে লার্ভার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হওয়া মানেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সার্ভেতে দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৮টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু সংক্রমণের হার ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে।’
ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, এডিস মশা খুবই স্বল্প জায়গায় লার্ভা ছড়াচ্ছে। যেমন পার্কিংয়ে কিংবা গেটের নিচে সামান্য জায়গায় জমে থাকা পানিতে অনেক বেশি ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম, রাস্তাঘাট উঁচু হওয়ায়, অব্যবহৃত নিচতলায়, ভবনের পার্কিংয়ে জমে থাকা পানির কারণে এসব বহুতল ভবনে পাওয়া যাচ্ছে লার্ভা।’
অনুষ্ঠান থেকে আরও জানানো হয়, ঢাকা মহানগরের সবাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। সবার সচেতনতা এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা উত্তর সিটির ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো, ২, ৩, ৫, ৬, ১০, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৫, ৩৭, ৩৮ নং ওয়ার্ডসহ সর্বমোট ২৭টি ওয়ার্ড।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৯, ১১, ১২, ১৩, ১৫, ১৬, ১৮, ১৯, ২২, ২৩, ২৬, ৩৩, ৩৪, ৩৬, ৪১, ৪৪, ৪৬, ৪৮, ৫০, ৫১, ৫৪, ৫৫, ৫৬ নং ওয়ার্ডসহ সর্বমোট ২৮টি ওয়ার্ড।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার, দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকরা।
সারাবাংলা/এসবি/একে