দেশের ৭৫ ভাগ এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক খারাপ, সবচেয়ে বাজে টেলিটক
৫ জুলাই ২০২৩ ১৬:৩৩
ঢাকা: ঈদযাত্রায় বিগত বছরের চেয়ে এবার কিছুটা স্বস্তি মিললেও ঘরে ফিরে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা পেতে দুর্ভোগে পড়েছেন মোবাইল ফোন গ্রাহকরা। দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটক নেটওয়ার্কের বেহাল দশা দেশজুড়ে। নাড়ির টানে ঘরে ফেরা মানুষেরা টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা কেমন পেল এ নিয়ে মতামত জরিপ শেষে এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের বেহাল দশা, দুর্ভোগে স্বপ্ন নিয়ে ঘরে ফেরা মানুষ। দেশের চারটি অপারেটরের সেবার মান এলাকা ভেদে ভিন্ন। কোনো কোনো জেলায় জিপির নেটওয়ার্ক মান খুব ভালো আবার কোনো কোনো এলাকায় রবির সেবার মান ভালো আবার কোনো এলাকায় বাংলালিংকের সেবার মান ভালো। টেলিটকের বেহাল দশা সারা বাংলাদেশে।’
মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, সার্বিকভাবে দেশের ৭৫ ভাগ এলাকাতেই সেবার মান সর্বনিম্ন।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রাহকের মন্তব্যে সেবার মান সম্পর্কে মতামত লক্ষ করলে দেখা যায়, কেউ লিখছেন, ‘নেটওয়ার্ক পেতে কি এবার গাছে উঠতে হবে?’ কেউ লিখছেন, ‘বাড়িতে নেটওয়ার্ক পাই না, তাই বৃষ্টির মধ্যেও সড়কে এসে পোস্ট করছি।’ কেউবা লিখছেন, ‘বাজারে আসা ছাড়া মোবাইলে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। আবার অনেকেই মন্তব্য করেছেন তার ইন্টারনেটের ব্যালেন্স পর্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও ব্যবহার না করার কারণে এরইমধ্যে তার মেয়াদ শেষ। এভাবে শত শত গ্রাহক তার তিক্ত অভিজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।”
সংগঠনটি জানিয়েছে, এবার ঈদযাত্রায় সবচেয়ে দুর্ভোগে ছিল টেলিযোগাযোগ ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারকারীরা। এক কথায় বলা যায়, টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের বেহাল দশা।’
মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘গত বছর ৩১ মার্চ তরঙ্গ নিলাম হওয়ার পর আমরা ভেবেছিলাম টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবার মান উন্নয়ন হবে। কিন্তু তা না হয়ে ফল হয়েছে উল্টো। আর এর দায়ভার এমএনও অপারেটর, এনটিটিএন, টাওয়ার কোম্পানি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি এড়াতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রান্তিক পর্যায়ে দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক প্রাপ্তিতে কাজ করছে। সেখানে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবার দুর্ভোগ কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ব্যাপারে আমরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে