ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান ও সার্জনের (বিসিপিএস) অধিভুক্ত পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট চলছে।
শনিবার (৮ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু হয়। চলবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। এ সময় পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিৎসকরা জানান, তাদের ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাদের বর্তমান ভাতা ২০ হাজার টাকা। তা ৫০ হাজারে উন্নীত করার দাবি তাদের।
অবস্থান ধর্মঘটে বক্তারা বলেন, ঢাকাসহ বাংলাদেশের কয়েকটি মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসকরা এসেছে। তারা কর্মবিরতিতে যেতে চান না। লিখিত সমাধান না আসা পর্যন্ত তাদের কর্মবিরতি চলবে। তবে তাদের কর্মবিরতিতে হাসপাতালে যারা মেডিকেল অফিসার আছেন, তারা ডিউটি করতেছেন। তাই রোগীদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আজ দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তাদরে কর্মবিরতি চলবে। দাবি না মেনে নিলে আগামীকাল আবার নতুন কর্মসুচী দেওয়া হবে।
পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডা. এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি, ভাতা ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় বৃদ্ধি করতে হবে। গত ছয় মাস ধরে মন্ত্রণালয়, বিএসএমএমইউ, বিসিপিএসসহ সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি। সবাই আমাদের শুধু আশ্বাসই দিয়ে যাচ্ছে। ঈদ বোনাসসহ কোনো প্রণোদনা দেওয়া হয় না। এমনকি আইন করে আমাদের বাইরে প্র্যাক্টিস বন্ধ রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে আমাদের সবচেয়ে কম ভাতা। এই ভাতা নিয়ে আমাদের সংসার চালানো কোনো ভাবেই সম্ভব না। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন। বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করে আমাদের বাঁচতে দিন। বুঝতে হবে কখন চিকিৎসকরা হাসপাতালে রোগী রেখে রাস্তায় নামে, এটা চিকিৎসক সমাজের লজ্জার।’
ডা. জাবির হোসেন বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলের সার্জারি বিভাগে ডিউটি করি। সেখানে হাসপাতালের চিকিৎসকদের চাইতে আমাদের বেশি কাজ করতে হয়। এই বাজার মুল্যে ২০ হাজার টাকা দিয়ে চলা কোনো ভাবেই সম্ভব না। দুই কছর মেয়াদি আমাদের কোর্স। যেখানে মেধার কোনো মূল্য নাই, সেখানে মেধার বিকাশ ঘটেনা। আজ রাস্তায় নেমেছি যেন ন্যায্য সম্মান ও ন্যায্য ভাতা নিয়ে ফেরত যেতে পারি।’