Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সরকার পতনে ৩৬ দলের যৌথ কর্মসূচি আসছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ জুলাই ২০২৩ ২২:৫৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সরকার পতনে ‘কিছুদিনের মধ্যেই’ বিএনপিসহ ৩৬ রাজনৈতিক দলের যৌথ কর্মসূচি আসছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

শনিবার (৮ জুলাই) বিকেলে নগরীর কাজির দেউড়ির নসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের মাঠে এক সভায় তিনি একথা জানান। কেন্দ্রঘোষিত শ্রমিক সমাবেশ সফল করতে বিভাগীয় শ্রমিক দল এ প্রস্ততি সভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে হটাতে হলে সবাইকে রাজপথে থাকতে হবে। এখন বাংলাদেশের মানুষের একটাই দাবি যে, শেখ হাসিনা কখন গদি ছাড়বে। আজ বিদেশি গণতান্ত্রিক দেশগুলো একটি কথায় বলছে, বাংলাদেশে কোনো গণতান্ত্রিক সরকার নেই। বাংলাদেশে অবৈধ সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। একে সরাতে হবে।’

‘চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়ে বাংলাদেশে একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে সকল মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাই কয়েকদিনের মধ্যে ৩৬টি রাজনৈতিক দল একসঙ্গে সরকার পতনের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করবে। ঘোষণা আসার পর আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনাকে বিদায় করব। এছাড়া কোনো বিকল্প নেই’- বলেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান।

বুলু আরও বলেন, ‘আগে সর্ব্বোচ্চ সাজা সব মামলা মিলিয়ে ২০ বছর বা ৩০ বছর খাটলে চলে যেত। কিন্তু শেখ হাসিনা এই ছয় মাসে একটা আইন করেছে। আপনার যদি ৫০ বা ১০০টি মামলা থাকে সব মামলার একটির পাঁচ বছর বা ১০ বছর সাজা আপনাকে খাটতে হবে। আমরা হিসেব করে দেখেছি, শেখ হাসিনাকে যদি বিদায় দিতে না পারি তাহলে আমাদের কারও এক হাজার বছর, কারও দেড় হাজার বছর সাজা খাটতে হবে। সারাদেশে ৪০ লাখ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা আছে। শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় টিকে যায় তাহলে আমাদের সবার পরিবারকে জেলখানা থেকে আমাদের লাশ নিয়ে আসতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, ‘অতীতে রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রমিক, মজুর, কৃষক, অসহায় শ্রমজীবী মানুষ অংশ নেয়নি ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো আন্দোলনই সফলতার মুখ দেখেনি। শ্রমিক-জনতা রাস্তায় নামলেই শাসকেরা মাথা নত করে। শেখ হাসিনা কূট কলাকৌশলে জনগণকে জর্জরিত করে ফেলেছে। তাই বীর চট্টলার মানুষ ১৬ জুলাই দেশকে জাগিয়ে দিতে মহাসমাবেশ সফল করবে।’

সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়। তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। দেশে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। এখন সরকারের অবস্থান দেশেও নাই, বিদেশেও নাই। আমরা সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলনে আছি। আমাদের বিজয় খুব কাছাকাছি। এই সরকারের পতনের ঘণ্টা বাজাতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।’

নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করে গোটা জাতিকে খণ্ড-বিখণ্ড করেছে। দেশে চলছে এক ভয়াল নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক লক্ষ্য হচ্ছে, ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তারা দেশে-বিদেশে বিলাসী জীবন-যাপনকে নির্বিঘ্ন রাখতেই ক্ষমতার আড়ালে মহাদুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছে। চিরস্থায়ী ক্ষমতার বলয় তৈরির অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।’

সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী। মহানগর বিএনপিই আগামী ১৬ জুলাই মেহনতি জনতার মহাসমাবেশের মাঠ পূরণ করে দিবে। সরকারের দমন-নিপীড়নকে আমরা ভয় পাই না। নেতাকর্মীদেরকে সুশৃঙ্খলভাবে রাজপথে নেতৃত্ব দিতে হবে। আমাদের বিজয়ের পদযাত্রা শুরু হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘সারাদেশে ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার আশকারার কারণে ইতোমধ্যে বিএনপির ১৭ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমতার মোহ বাংলাদেশের চেয়েও প্রিয়।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শ্রমিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, মহানগর যুগ্ম-আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, দক্ষিণ জেলার সদস্য মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম

বরকত উল্লাহ বুলু বিএনপি

বিজ্ঞাপন

সিইসিসহ নতুন ৪ কমিশনারের শপথ
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:১০

আরো

সম্পর্কিত খবর