ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত শিশু হাসপাতাল
৯ জুলাই ২০২৩ ১৫:১৫
ঢাকা: ঢাকার শনির আখড়া থেকে দুই বছর এক মাস বয়সী শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন মা জেরিন। গত চার দিনে তার বাচ্চা অননেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে। রোববার (৯ জুলাই) রাজধানীর শিশু হাসপাতালের চার তলায় ডেঙ্গু কর্নারে গিয়ে দেখা যায় তার ঠোঁটের কোনে হাসি। জানালেন, প্রথম দিকে জ্বরে অবস্থা খারাপ ছিল। এখন নিয়মিত চিকিৎসা চলছে। অর্ধেক ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে। বাকি অর্ধেক কিনতে হচ্ছে। তবু তিনি সন্তুষ্ট।
প্রায় একই ধরনের কথা বলেন বরিশাল থেকে আসা সরস্বতীও। তার ১০ বছরের ছেলেকে নিয়ে একই কর্নারে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, পুরো হাসপাতালই প্রস্তুত আছে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য।
চলতি বছরে শিশু হাসপাতালে মোট ১৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ভর্তি হয়েছেন। জুলাই মাসের নয় তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন ৩৯ জন। অর্থাৎ, ৬ মাসে প্রায় দ্বিগুণ ডেঙ্গু রোগী জুলাই মাসেই শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শিশু হাসপাতালে এক নম্বর জেনারেল ওয়ার্ডে ১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু চিকিৎসাধীন। ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জ্বর, খিচুনি, বমি অথবা ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, পরে তাদের ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়।
চিকিৎসাধীন এক শিশুর মা সরস্বতীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল। থাকেন ঢাকায়। জ্বর, বমি হওয়ায় হাসপাতালে ৩ জুলাই তার বাচ্চাকে ভর্তি করানো হয়। এখন তার শারীরিক অবস্থা মোটামুটি ভালো। হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার প্রশংসা করে তিনি বলেন, এখানে বাচ্চাদের অনেক যত্ন করা হয়।
চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত বছরের থেকে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত এবং মৃত্যুর প্রকোপ কয়েকগুণ বেশি। ডেঙ্গুর কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকদের কাছে পরামর্শ নিতে হবে। ডেঙ্গু পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে।
চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সময় কথা হয় সিনিয়র ওয়ার্ড ইনচার্জ নিপা মজুমদারের সঙ্গে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ৬ থেকে ৭ মাস এবং ১২ থেকে ১৩ বছরের শিশু বেশি আসছে এই হাসপাতালে। আমরা চেষ্টা করছি সর্বোত্তম সেবা দেওয়ার। তবে এখানে রোগীর চাপ বাড়ায় আমাদের উপরও চাপ বেড়েছে। কিন্তু এতে কোনো সমস্যা নেই।
সারাবাংলা/জেজে/আইই