Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লিফট-স্কেলেটরকে ক্যাপিটাল মেশিনারি ক্যাটাগরিতে রাখার দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ জুলাই ২০২৩ ১৫:৪৮

ঢাকা: লিফট এবং স্কেলেটরকে অত্যাবশ্যক ক্যাপিটাল মেশিনারি ক্যাটাগরিতে রেখে আগের শুল্ক কর হার বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ এলিভেটর, এস্কেলেটরস অ্যান্ড লিফট ইম্পোর্টার্স এসোসিয়েশন (বেলিয়া)।

রোববার (৯ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচী পালন করে দেশে লিফট আমদানিকারকদের সংগঠনটি। মানববন্ধনে সংগঠনটির সহ-সভাপতি আক্তার জামিল ভূঁইয়া, ইঞ্জিনিয়ার অচিন্ত্য বিশ্বাস, সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো, শফিউল আলম উজ্জ্বল, হেড অব বিজনেস মনজুর হাসান ও হেড অব সেলস মাহফুজুর রহমানসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডলার সংকট ও রেট বেড়ে যাওয়া এবং আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির কারণে আগে থেকেই সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে দেশের লিফট আমদানিকারক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ অবস্থার মধ্যেই গত অর্থবছরে লিফটকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। এতে ক্ষতির মুখে পড়েন তারা। এছাড়া ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে লিফটকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগড়ি থেকে বাদ রেখেই আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান শুল্ক আরও ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করে সর্বমোট ২৫.৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এস্কেলেটরকে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরি থেকে অবমুক্ত করে আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান মোট শুল্ক ১১ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে সর্বমোট ৪৩ শতাংশ করা হয়েছে।

বক্তরা বলেন, এমনিতেই ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। কোনোভাবে এলসি খোলা গেলেও ডলার রেট অনেক বেশি। তাই আমদানি করতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় লিফটের উপর অতিরিক্ত শুল্ক বহাল থাকলে অধিকাংশ লিফট কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাবে। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে পারে, তেমনি লিফ্ট ব্যবহারকারীদের রক্ষণাবেক্ষণে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

লিফট আমদানিকারকরা আরও বলেন, বিক্রয় পর্যায়ে সরবরাহের বিপরীতে ভ্যাট প্রদান করে থাকে। পক্ষান্তরে লিফট উৎপাদনকারীরা ২০২৫ সাল পর্যন্ত ভ্যাট মওকুফ সুবিধা ভোগ করছেন। সরকারের বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পের লিফট এবং এস্কেলেটরের বর্তমানে চলমান কার্যাদেশের মূল্য ৪০০-৫০০ কোটি টাকা। একইভাবে বেসরকারি খাতে যা ১২০০-১৫০০ কোটি টাকা। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার/ইউরোর মুদ্রা বিনিময় মূল্যের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা কার্যকরী না থাকায়, ডলার/ইউরোর অনিয়ন্ত্রিত মূল্য বৃদ্ধিতে সরবরাহকারী ও আমদানিকারকদের নাভিশ্বাস উঠেছে। তার উপর বাজেটে প্রস্তাবিত অতিরিক্ত শুল্ক যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বেলিয়া’র সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আলম উজ্জ্বল বলেন, ‘বাংলাদেশে এই শিল্প সব সময়ই ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগরির মধ্যে ছিল। কিন্তু ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ক্যাটাগড়ি থেকে এটাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রতি বছর শুল্ককর বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে এমনিতেই আমরা নানা সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। এই অবস্থার মধ্যেই আমাদের উপর শুল্কের চাপ এসে পড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘লিফট হলো এমন একটি পণ্য, যেটা আমদানিতে একটা লম্বা প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে আসতে হয়। কিন্তু এর আগে বা পরে হঠাৎ শুল্ক আরোপ হলে এটার ইফেক্ট খুব বেশি হয়। ইতিমধ্যে অনেকেই মুখ থুবড়ে পড়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর ৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর পরেও আমরা যেকোনোভাবে হোক চালিয়ে নিয়েছি। এবার আবার বাড়ানো হয়েছে ১০ শতাংশ। যা টোটাল হিসাব করলে ২৫.৭৫ শতাংশ হয়ে যায়। এখন এই অবস্থায় আমদানি করতে গেলে আমাদের ব্যবসায়ীরা চাপের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। তাই লিফট এবং স্কেলেটরকে অত্যাবশ্যক ক্যাপিটাল মেশিনারি ক্যাটাগরিতে রেখে আগের শুল্ক কর হার বহাল রাখার দাবি জানাই।’

সারাবাংলা/জিএস/এনএস

বেলিয়া লিফট স্কেলেটর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর