Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আরপিও সংশোধনীর ফলে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বেড়েছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ জুলাই ২০২৩ ১৫:৪৮

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘সরকার নির্বাচন কমিশনের মতামত নিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করেছে।। আরপিও সংশোধনীর ফলে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বেড়েছে।’

সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রদান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুর আউয়াল একথা বলেন। এ সময় ইসি কমিশনার রাশেদা সুলতানা, আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সিইসি বলেন, ‘সরকার কিছু চাপিয়ে দেয়নি। নির্বাচন কমিশনের সম্মতিতে আরপিও সংশোধন করা হয়েছে। সরকার কিছু বিভ্রান্তি দূরের প্রস্তাব দিয়েছিল, তাতে ইসি সম্মতি দিয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ভবিষ্যতেও আইনের যেকোনো সংশোধনীর জন্য ইসি প্রস্তুত। নতুন করে ব্যালেটে ভোটারের স্বাক্ষর থাকার বিষয়টি যোগ হয়েছে।’

সিইসি বলেন, ‘এটাকে বিশাল করে দেখানোর চেষ্টা করেছে; নির্বাচন কমিশন তার পায়ে কুঠার মেরে ফেলেছে… নির্বাচন কমিশন ভুল করতে পারে কিন্তু কুঠার মারেনি। আমরা বলছি, আমরা সুচিন্তিতভাবে, চিন্তা-ভাবনা করে আমরা এটাকে কারেকশন করেছি। এখানে আসলে ইলেকশন হবে না, পোলিং হবে।’

আগামী ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে যদি এমন কোনো পরিস্থিতি হয়, নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি নেই, কমিশন চাইলে কি নির্বাচন বাতিল করতে পারবে— এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এ প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না।’

ভোট শুরুর আগে কমিশন ভোট বন্ধ করতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনের আগের দিন ভূমিকম্প হয়ে ৫০ লাখ লোক মারা গেছেন কমিশনের কিছু ইনহেরেন্ট পাওয়ার আছে। পারবে না কেন। যদি প্রয়োজন হয় পারবে না কেন।’

বিজ্ঞাপন

সিইসি বলেন, ‘অনিয়ম যিনি করেছেন তার প্রার্থিতা বাতিল করার সুস্পষ্ট বিধান আছে। সেই সময়টা খুব মার্জিনাল। সেই সময় যদি আমরা তদন্ত করে দায় নিরূপণ করতে পারি কে অনিয়ম করেছে তাহলে তার প্রার্থিতা বাতিল করে আমরা নির্বাচন চালিয়ে নিতে পারব। আর পোলিং-ইলেকশনের কারণে কোনো হেরফের হবে না। প্রচলিত বিধানের কারণেই আমরা তার প্রার্থিতা বাতিল করতে পারব।’

ভোটের আগে সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকলে কমিশন কোন আইনে ভোট বন্ধ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নতুন আইন ছুড়ে ফেলে দেন, এই আইন হয়নি। ভোটের আগের দিন যদি এ রকম কোনো পরিবেশ হয় ভোট আমরা বন্ধ করতে পারব কিনা সেটা ওই ধরনের পরিবেশ হলে তখন কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।’

আইনগতভাবে কমিশন এটা পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলছি, ৯১(এ) তে সেই ক্ষমতা রহিত হয়নি। আইনের বাইরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আছে। সেটিকে বলা হয় ইনহেরেন্ট পাওয়ার।’

সারাবাংলা/জিএস/আইই

আরপিও

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর