ঢাবি: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরাকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসীবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে, গত ৮ জুলাই ঢাকার চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনকে নিয়ে ওই মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেছিলেন, ‘বিদেশ থেকে ছেলে-মেয়ে নিয়ে এসে সিটি করপোরেশনে নিয়োগ দেয়, নাম দেয় হিট অফিসার। তো আমরা তো এখন হিটেড হয়ে গেলাম।’
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য তার দলের দৈন্য, দলের নেতাকর্মীদের নিচু মানসিকতা ও নারীদের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিচ্ছবি। তারা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কীভাবে কথা বলতে হয়, তা শিখতে হবে।

ছবি: সারাবাংলা
নারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ‘কথা বলা’ শেখার আহ্বান জানিয়ে কর্মসূচিতে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিয়া সুলতানা কথা বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে বলতে চাই, আপনি নিজে বয়স্ক লোক হয়ে নিজের মেয়ে বয়সের একজনকে কীভাবে বলতে পারেন, তাকে দেখে হিটেড হয়ে যান। এরকম লোক একটা দলের মহাসচিব কীভাবে হয়, সেটাই আমাদের প্রশ্ন। কীভাবে কথা বলতে হয় সেটা আপনাকে শিখতে হবে। না পারলে নারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আপনি এসে শিখে যান, কীভাবে কথা বলতে হয়।
যতদিন পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইবেন ততদিন পর্যন্ত প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রলীগ নেত্রী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব আসলে নারী জাতিকে সম্মান দিতেই শিখেননি। মির্জা ফখরুল সাহেবের পূর্বসূরীরাও নারীকে সম্মান দিতে পারেননি, তিনিও দিতে পারছেন না এবং তার উত্তরসূরীরাও দিতে পারবেন না। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
বিএনপি মহাসচিব বয়সের সঙ্গে তার চিন্তাশক্তিও হারিয়ে ফেলছেন উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখি বলেন, ‘তিনি একটি মেয়েকে নিয়ে যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তা শুধু একটি মেয়েকেই নয়, গোটা বাংলাদেশের সকল নারী সমাজকেই অপমান করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বোধহয় বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম চিন্তাশক্তিও হারিয়ে ফেলছেন।’