অনলাইনে জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
১১ জুলাই ২০২৩ ২১:০৫
ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, নিউজ পোর্টাল, টিভি ও স্পোর্টস চ্যানেলে বা অন্য কোনো অনলাইন মাধ্যমে বেটিং বা জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা ওয়েবসাইট বন্ধ বা ব্লক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিকাশ, নগদ, রকেট, এমক্যাশ ইত্যাদিসহ মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে অর্থ প্রদানের জন্য তাদের পেমেন্ট গেটওয়েগুলিকে অনুমতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশে দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী।
তিনি জানান, বাংলাদেশে জুয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল, টিভি চ্যানেল বিশেষ করে খেলার চ্যানেলে ওয়ানএক্সবেট, মেলবেট, বাজি, বাজি স্পোর্টস, বেটউইনার, টেনক্রিক, বেটথ্রিসিক্সটিফাইভ, বিজে বাজিসহ বিভিন্ন অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে।
এ সংক্রান্ত একটি রিট হাইকোর্টে বিচারাধীন থাকলেও বিভিন্ন চ্যানেল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম, বিভিন্ন পোর্টালসহ অনলাইনে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ কারণে এ বিষয়ে আরেকটি সম্পূরক আবেদন করা হয়।
আজ ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, নিউজ পোর্টাল, টিভি ও স্পোর্টস চ্যানেলে বা অন্য কোনো অনলাইন মাধ্যমে বেটিং বা জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা সব বেটিং সাইট বন্ধ বা ব্লক করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে বিকাশ, নগদ, রকেট, এমক্যাশ ইত্যাদিসহ মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে অর্থ প্রদানের জন্য তাদের পেমেন্ট গেটওয়েগুলোকে অনুমতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মিফতাহুল আলম ও সুমিত কুমার সরকার জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট (রিট পিটিশন নম্বর: ১৫৬০৯/২০২২) দায়ের করেন। রিটে বিটিআরসির চেয়ারম্যান, তথ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ পাঁচ জনকে বিবাদী করা হয়।
এরপর ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সম্প্রতি আরেকটি সম্পূরক আবেদন করা হয়। এরপর আজ শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে