Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বরিশালের সাবেক ওসির ৬ ও স্ত্রীর ৪ বছরের কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১২ জুলাই ২০২৩ ১২:০৮

ঢাকা: বরিশাল জেলার সাবেক ওসি ও রাজধানীর গুলশান জোনের সাবেক উপ-পরিদর্শক ফিরোজ কবিরের ছয় বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদকে চার বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (১২ জুলাই) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে জামিনে থাকা দুই আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ফিরোজ কবিরকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুন অর্থাৎ এক কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। ফিরোজ কবির কর্তৃক অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি অর্থাৎ ৮৭ লাখ ১৭ হাজার ১৯৪ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ফিরোজ কবিরকে অর্থদণ্ডের টাকা রায়ের দিন থেকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ব্যর্থতায় তা দ্যা কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ এর ৩৮৬ ধারা অনুযায়ী আদায়যোগ্য হবে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি সাইফুল ইসলাম মিঠু সাজার বিষয়টি জানান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩১ মে র্পযন্ত ফিরোজ কবির এবি ব্যাংক গুলশান শাখার, ডাচ বাংলা ব্যাংক, গুলশান শাখার, এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংকের গুলশান শাখার, ইসলামী ব্যাংক, গুলশান শাখা, ব্রাক ব্যাংক, গুলশান শাখার চলতি হিসাবের এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদ ইভার নামে পরিচালিত ডাচ বাংলা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে জ্ঞাত আয় বর্হভিূত সর্বমোট ৩০৯ দশমিক ৯৭ লাখ টাকা জমা করেন। তাদের ব্যাংক হিসাবে সমূহে পেশার সঙ্গে অসামঞ্জস্যর্পূণ বিপুল অংকের লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। অধিকাংশ হিসাব খোলার সময় ফিরোজ কবির অর্থের উৎস চাকুরি দেখিয়েছেন।

কিন্তু যে ধরনরে ও যে অংকের লেনদেন হয়েছে তা বেতন ভাতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অর্থের উৎস সম্পর্কে অভিযুক্তরা কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বা প্রমাণ দাখিলে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে প্রাথমকিভাবে প্রমানতি হয় যে, জমাকৃত উক্ত অর্থ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুর্নীতি ও ঘুষ সংক্রান্ত সম্পৃক্ত অপরাধলব্ধ।

২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর এই অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৯ সালে মামলাটি তদন্তের পর দুদক এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন।

সারাবাংলা/এআই/ইআ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর